বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব:) শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল মিধ্যা অভিযোগ করায় অভিযোগের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝর তুলেছে গোদাগাড়ী তানোর উপজেলার বিএনপির নেতা কর্মিরা। বিএনপির নেতা কর্মিরা বলছেন মেজর জেনারেল (অব:) শরীফ উদ্দিনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দল ছুট গুটি কয়েক নেতার এজেন্ডা বাসত্ববায়ন এবং বিএনপির ভাবমুর্তি ক্ষুন করতে বিএনপির মহাসচিব বরাবর এ মিথ্যা অভিযোগ করেন  শাওয়াল।

সোশাল মিডিয়া থেকে প্রতিবাদকারীদের বক্তব্য হুবাহুব তুলে ধরা হল : মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিদের্শে গোদাগাড়ী তানোর অভিভাবক মেজর জেনারেল অবঃ শরীফ উদ্দিন তৃনমূলের নেতৃবৃন্দদের ঐক্যবদ্ধ করা জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ঠিক তখনই গোদাগাড়ী উপজেলার বিতর্কিত মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি শাওয়াল এর অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। এরা কয়েক জন অনবরত দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি করে যাচ্ছে। জনগণের কাছে এদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নাই একশ্রেণীর আওয়ামী দালালদের টাকা নিয়ে গোদাগাড়ী বিএনপি ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জন্য রাজশাহী জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ দিলিপ বলেন, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব ও বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য মেজর জেনারেল অবসর শরীফ উদ্দিন এর নামে যে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ কারী গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি র সভাপতি দালাল শাওয়াল আওয়ামী পরিবারের সদস্যের এজেন্ডা বাস্তবায়নে যে মিথ্যাচার করছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি পক্ষ থেকে গোগ্রাম ইউনিয়নে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম । বিভিন্ন সময় যাদের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে বিভিন্ন মোড়ে থেকে ঈদের সময় মাংস নিয়ে গেছে তাদের টাকাগুলো পরিশোধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করছি অন্যথায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতি শীঘ্ গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণার করার আহবান জানাচ্ছি।

গোদাগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহিদুর রহমান বাক্কার বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল (অব:) শরীর উদ্দিনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে যে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগকারী গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাওয়াল যে মিথ্যাচার করছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জন্য রাজশাহী জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাবেক ছাত্র নেতা আলহেলাল সাউন বলেন, অভিযোগ যারা করেছেন।। তারা সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।। অন্যদিকে অপরাজনীতি চর্চা করছেন।

প্রথম কথা, এটা ছিল কর্মী সম্মেলন: এ অনুষ্ঠান শুরু করার প্রারম্ভেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনের শহীদের, ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদ, ৯০ এর গণ আন্দোলনের শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কামনা করে দোয়া করা হয় উক্ত দোয়া পরিচালনা করে হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ শামীম ।

দ্বিতীয়তঃ এই কর্মী সম্মেলনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিকামী মুক্তি পাগল মানুষকে সংগ্রামী ও জ্বালাময়ী কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী ও সুরকার দেশ প্রেমিক ইথন বাবু আধুনিক রণ-বিদ্রোহের সিপাহ সালোয়ার ১৭ বছর যেমন আন্দোলনে স্পিড দিয়েছে তারই ধারাবাহিকতা। জিয়া পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন ও বিএনপি সংগঠনের সাথে যার আত্মিক সম্পর্ক।

তৃতীয়তঃ ইথন বাবু বিএনপি’র একটি অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতা । এটাও যদি আমরা ভুলে যাই। তাহলে কি চলবে? তাহলে কি আপনারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন ( জাসাস ) কে অস্বীকার করছেন?
চতুর্থতঃ উক্ত কর্মী সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়টি ছিল বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাসাসের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ।

পঞ্চমত, যার নামে অভিযোগ তিনি রাজনীতিতে এসেছেন সুশৃংখল সাংগঠনিক পদ্ধতিতে। অন্যদিকে রাজনীতিতে আসার পূর্বেই জিয়া পরিবার ও বিএনপি’র জন্য কাজ করতে গিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের শিকার।

বিএনপি কর্মি রয়েল সায়েদ : এগুলো নোংরা অভিযোগ এবং নোংরা মন মানসিকতা। কারণ প্রেমতলীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইথুন বাবু যেভাবে বিএনপির প্রচারণা করেছে তা রাজনৈতিক নেতারাও করতে পারে না । লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে জালসা করে জামাতের ভোট না চেয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে বিএনপির ভোট চাওয়া অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

শাওয়াল সাহেব বিএনপি জন্য কি এমন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে জানতে চাই? টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লোককে পদ দেয়নি? উনি এই বয়সে এসে সাধারণ জীবন যাপন করবেন না তো কি জীবন যাপন করবেন।

বিএনপি কর্মি হযরত আলী : মেজর জেনারেল শরিফ স্যারের জনপ্রিয়তা দেখে ওরা মিত্থা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গোদাগাড়ী  উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক বেদার উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলির অন্যতম সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরীফ উদ্দীন সাহেবের জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা তথাকথিত বিএনপি নেতা মিথ্যা অভিযোগ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে।

গোদাগাড়ী -তানোরের একমাত্র ধানের শীষের কান্ডারী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ শরিফ উদ্দীন সাহেবের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপপ্রচার করছে সেই তথা কথিত উপজেলা বিএনপির সভাপতির বহিস্কার চাই।

বিএনপি কর্মি ইব্রাহীম: আমি অনেক রাজনীতিবিদ কে দেখছি একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত  রাজনীতি করেই খেতে হবে এমন কোন কথা নেই আপনি যে দালালি করেন আপনার ষড়যন্ত্র দেখেই বুঝা যায় আর একজন দালাল কখনো রাজনীতিবিদ হতে পারে না।

মুন্ডুমালা বিএনপি : সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলির সম্মানিত সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ শরিফ উদ্দিন এর নামে মিথ্যা অভিযোগ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সেলিম রেজা: সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলির অন্যতম সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরীফ উদ্দীন সাহেবের জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা তথাকথিত বিএনপি নেতা মিথ্যা অভিযোগ করায়  ৷ এক নম্বর গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ও গোদাগাড়ী উপজেলা যুবদলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।  যারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

শরিফ: রাজশাহী-১ গোদাগাড়ী তানোরের একমাএ ধানের শীষের কান্ডারী মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সম্মানিত সদস্য ও সাবেক সামরিক সচিব সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি শরীফ সাহেবের বিরোধীদের সম্মানের শহীত বলতে চাই, অনেক বিরোধিতা করেছেন একটু থামুক সঠিক চিন্তা করুন এবং শরীফ উদ্দিন সাহেবের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করুন। তাছাড়া পূর্বের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে ইনশাল্লাহ। আল্লাহ আপনাদের বুঝার তৌফিক দান করুন, আমিন। মো: তৌহিদুল ইসলাম (শরীফ) তথ্য সম্পাদক গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি।

গোদাগাড়ী  উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাবু :  আমার জানামতে এবং সাংগঠনিক নিয়মে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির বৈধ্য কোন কমিটি নাই। যেটার সভাপতি/ সেক্রেটারি দাবি করা ব্যাক্তিরা সম্পুর্ন আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা। কেননা বিএনপির ত্রিবার্ষিক কোন কাউন্সিল হয় না। তাই এই অবৈধ সভাপতি/সেক্রেটারি দালালীর অভিযোগ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে, রাজশাহী -১  (গোদাগাড়ী -তানোরের) জাতীয়তাবাদী শক্তি। আমাদের নেতা মেজর জেনারেল অবঃ শরীফ উদ্দিনের জনপ্রিয়তা কমানো, শুধু মুসকিল ই নয়, অসম্ভব।।

এই রকম শত শত নেতা কর্মি সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। সাথে সাথে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জন্য রাজশাহী জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।

গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল মালেক বলেন, ইউনিয়ন সাবজেক্ট কমিটির সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল বলেন, উপজেলা কমিটি গঠনের সময় উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সকলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের কথা বললেও তিনি তা না করে অর্থের বিনিময়ে মনগড়া কমিটি করেছে। এই কমিটি বাতিলের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেন করা হয়েছিল। অভিযোগকারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাওয়াল বিভিন্ন ভাবে  আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে বিএনপিকে ধংশ করার কজে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি উপজেলা ভোট বর্জন করলেও শাওয়াল আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জন্য উপজেলা ভোটে সোহেল চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট করেছে। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব:) শরীর উদ্দিন যখন গোদাগাড়ী তানোরের বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে শক্তিশালী করনে কাজ করছে তখন উপজেলা সভাপতি শাওয়াল আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জন্য শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। মিথ্যাচার করছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জন্য রাজশাহী জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।