ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোর বিএডিসি ভবনে ঢুকলেই চোখে পড়ে হরেক রকমের সবজি ও ফলের গাছ

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শুধু ফুলেই নয়, সবজি আর ফলের গাছেও যে অপার সৌন্দর্য রয়েছে -তা প্রমাণ করলেন যশোর বিএডিসি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। চাঁচড়া চেকপোস্ট সংলগ্ন বিএডিসি দপ্তরের চারপাশে বাহারি সবজি এবং ফলের গাছে সাজিয়েছেন তারা। বিএডিসি ভবনে ঢুকলেই চোখে পড়ে হরেক রকমের সবজি ও ফলের গাছ।

সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে বসতবাড়ির সামনে সাধারণত নানা ফুলের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ ফুল ভালোবাসে। সে কারণে মৌসুমভিত্তিক ফুল গাছ লাগায়।

কিন্তু শহরতলির চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড় ঘুরে অবস্থিত বিএডিসির দপ্তরটির চিত্র দেখা গেছে একেবারেই আলাদা। চারপাশে চোখে পড়ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনিয়া পাতা, লাউ, শিম, পেঁয়াজের কালি, ব্রুকলি, আলু – কী নেই সেখানে! সবজি আর ফলের গাছে ভরপুর এক বাগিচা। যে কারোরই চোখ জুড়াবে, তৃপ্ত‌ হবে হৃদয়।কথা হয় বিআরডিসি সেচচ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সাথে।

তিনি বলেন, কে বলেছে শুধু ফুলেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। বিভিন্ন ধরনের সবজিতেও রয়েছে দারুণ সৌন্দর্য। তিনি বলেন, বিএডিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমাদের কাজই হচ্ছে কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে। আমরা কৃষকদের সচেতন করার কাজ করি। সে কারণে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফল ইত্যাদি মাথায় ঘুরপাক খায়। সে কারণে আমাদের অফিসের চতুর্দিকে সবজি এবং ফল লাগানো হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সবজি। এই সবজি আমরা খেতে পারছি। আমাদের প্রকৌশলীদের হাতে- কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তারা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের মাঝে সচেতন করছে, শিক্ষা দিচ্ছে।

মাহবুব আলম বলেন, কৃষি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে কাজ করা যায়- আমরা সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছি।ইরিগেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা, পলি হাউস নির্মাণের ডিজাইন ও এস্টিমেট, সৌরচালিত স্থাপনা সংরক্ষণ, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, হোলি হাউসে ফসল ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন, রিমোট সেটিং প্রযুক্তি, ইন-ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং আধুনিক কৃষি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েই আমাদের কাজ, বলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যশোর বিএডিসি ভবনে ঢুকলেই চোখে পড়ে হরেক রকমের সবজি ও ফলের গাছ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

শুধু ফুলেই নয়, সবজি আর ফলের গাছেও যে অপার সৌন্দর্য রয়েছে -তা প্রমাণ করলেন যশোর বিএডিসি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। চাঁচড়া চেকপোস্ট সংলগ্ন বিএডিসি দপ্তরের চারপাশে বাহারি সবজি এবং ফলের গাছে সাজিয়েছেন তারা। বিএডিসি ভবনে ঢুকলেই চোখে পড়ে হরেক রকমের সবজি ও ফলের গাছ।

সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে বসতবাড়ির সামনে সাধারণত নানা ফুলের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ ফুল ভালোবাসে। সে কারণে মৌসুমভিত্তিক ফুল গাছ লাগায়।

কিন্তু শহরতলির চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড় ঘুরে অবস্থিত বিএডিসির দপ্তরটির চিত্র দেখা গেছে একেবারেই আলাদা। চারপাশে চোখে পড়ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনিয়া পাতা, লাউ, শিম, পেঁয়াজের কালি, ব্রুকলি, আলু – কী নেই সেখানে! সবজি আর ফলের গাছে ভরপুর এক বাগিচা। যে কারোরই চোখ জুড়াবে, তৃপ্ত‌ হবে হৃদয়।কথা হয় বিআরডিসি সেচচ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সাথে।

তিনি বলেন, কে বলেছে শুধু ফুলেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। বিভিন্ন ধরনের সবজিতেও রয়েছে দারুণ সৌন্দর্য। তিনি বলেন, বিএডিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমাদের কাজই হচ্ছে কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে। আমরা কৃষকদের সচেতন করার কাজ করি। সে কারণে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফল ইত্যাদি মাথায় ঘুরপাক খায়। সে কারণে আমাদের অফিসের চতুর্দিকে সবজি এবং ফল লাগানো হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সবজি। এই সবজি আমরা খেতে পারছি। আমাদের প্রকৌশলীদের হাতে- কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তারা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের মাঝে সচেতন করছে, শিক্ষা দিচ্ছে।

মাহবুব আলম বলেন, কৃষি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে কাজ করা যায়- আমরা সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছি।ইরিগেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা, পলি হাউস নির্মাণের ডিজাইন ও এস্টিমেট, সৌরচালিত স্থাপনা সংরক্ষণ, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, হোলি হাউসে ফসল ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন, রিমোট সেটিং প্রযুক্তি, ইন-ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং আধুনিক কৃষি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েই আমাদের কাজ, বলেন তিনি।