ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিসির প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগ

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জিওফ অ্যালার্ডিস। চার বছর এই পদ সামলালেও হঠাৎ করেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তার পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেন। আইসিসি বলেছে, তার উত্তরসূরি নিয়োগ দিতে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেবে তারা।

অ্যালার্ডিসের পদত্যাগ করার কারণ খোলাসা করেনি আইসিসি। তবে, নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে এই দায়িত্ব ছেড়েছেন বলে দাবি অ্যালার্ডিসের।

তবে ক্রিকবাজ গত রাতে তার হঠাৎ পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রতিবেদনে লিখেছে, কিছু সমালোচিত ঘটনার কারণে হয়তো তিনি সরে গেছেন। যেখানে গত বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী সেটা বেশ আলোড়ন তুলেছিল। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ও ভেন্যু চূড়ান্ত করতে আইসিসির দেরি করার ঘটনাও তাঁর হঠাৎ পদত্যাগের কারণ হতে পারে বলে ক্রিকবাজ ধারণা করছে।

২০১২ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অপারেশনস ম্যানেজারের দায়িত্ব ছেড়ে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে অ্যালার্ডিস এসেছিলেন আইসিসিতে। ২০২১ সালের নভেম্বরে তার প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব শুরু। এক যুগেরও বেশি সময় থাকার পর অবশেষে আইসিসির সঙ্গে তার সম্পর্কের ইতি ঘটল।

আইসিসির প্রচারিত এক বিবৃতিতে অ্যালার্ডিস বলেন, ‘আইসিসির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অনেক সম্মানের। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে আইসিসির সদস্য দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তি তৈরি করা সব মিলে আমরা যা অর্জন করেছি, তাতে সত্যিই গর্বিত।

পদত্যাগের কারণে অ্যালার্ডিস উল্লেখ করেন, বিগত ১৩ বছর আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করায় আইসিসির চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ এবং গোটা ক্রিকেট সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পদত্যাগ করার এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে এটাই সঠিক সময় বলে মনে করছি। ক্রিকেটের জন্য রোমাঞ্চকর সময় অপেক্ষা করছে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী। আইসিসি ও ক্রিকেট বিশ্বের সফলতা কামনা করছি।’ দীর্ঘ সময় আইসিসিতে থাকা অ্যালার্ডিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জয় শাহ।

পাকিস্তানে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ব্যাপারে ভারতের বাগড়া দেওয়া নতুন কিছু তো নয়। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে খেলতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও অ্যালার্ডিসের বিশ্বাস ছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরবে না। সূচি ঘোষণায় দেরি করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে অ্যালার্ডিসের কাছে চিঠিও দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সমাধান খুঁজতে হয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাকে।

২০২৪ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হয়েছিল টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ খরচ করা হয়েছিল বলে গত বছরের জুলাইয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল। আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য অর্থ নয়ছয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন। সংস্থাটির বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং, ভেন্যু পরিদর্শক দলের সদস্য ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান ক্রিস টেটলি তাঁরা দুজন তখনই (২০২৪ সালের জুলাইয়ে) পদত্যাগ করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আইসিসির প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জিওফ অ্যালার্ডিস। চার বছর এই পদ সামলালেও হঠাৎ করেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তার পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেন। আইসিসি বলেছে, তার উত্তরসূরি নিয়োগ দিতে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেবে তারা।

অ্যালার্ডিসের পদত্যাগ করার কারণ খোলাসা করেনি আইসিসি। তবে, নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে এই দায়িত্ব ছেড়েছেন বলে দাবি অ্যালার্ডিসের।

তবে ক্রিকবাজ গত রাতে তার হঠাৎ পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রতিবেদনে লিখেছে, কিছু সমালোচিত ঘটনার কারণে হয়তো তিনি সরে গেছেন। যেখানে গত বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী সেটা বেশ আলোড়ন তুলেছিল। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ও ভেন্যু চূড়ান্ত করতে আইসিসির দেরি করার ঘটনাও তাঁর হঠাৎ পদত্যাগের কারণ হতে পারে বলে ক্রিকবাজ ধারণা করছে।

২০১২ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অপারেশনস ম্যানেজারের দায়িত্ব ছেড়ে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে অ্যালার্ডিস এসেছিলেন আইসিসিতে। ২০২১ সালের নভেম্বরে তার প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব শুরু। এক যুগেরও বেশি সময় থাকার পর অবশেষে আইসিসির সঙ্গে তার সম্পর্কের ইতি ঘটল।

আইসিসির প্রচারিত এক বিবৃতিতে অ্যালার্ডিস বলেন, ‘আইসিসির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অনেক সম্মানের। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে আইসিসির সদস্য দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তি তৈরি করা সব মিলে আমরা যা অর্জন করেছি, তাতে সত্যিই গর্বিত।

পদত্যাগের কারণে অ্যালার্ডিস উল্লেখ করেন, বিগত ১৩ বছর আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করায় আইসিসির চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ এবং গোটা ক্রিকেট সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পদত্যাগ করার এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে এটাই সঠিক সময় বলে মনে করছি। ক্রিকেটের জন্য রোমাঞ্চকর সময় অপেক্ষা করছে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী। আইসিসি ও ক্রিকেট বিশ্বের সফলতা কামনা করছি।’ দীর্ঘ সময় আইসিসিতে থাকা অ্যালার্ডিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জয় শাহ।

পাকিস্তানে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ব্যাপারে ভারতের বাগড়া দেওয়া নতুন কিছু তো নয়। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে খেলতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও অ্যালার্ডিসের বিশ্বাস ছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরবে না। সূচি ঘোষণায় দেরি করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে অ্যালার্ডিসের কাছে চিঠিও দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সমাধান খুঁজতে হয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাকে।

২০২৪ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হয়েছিল টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ খরচ করা হয়েছিল বলে গত বছরের জুলাইয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল। আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য অর্থ নয়ছয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন। সংস্থাটির বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং, ভেন্যু পরিদর্শক দলের সদস্য ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান ক্রিস টেটলি তাঁরা দুজন তখনই (২০২৪ সালের জুলাইয়ে) পদত্যাগ করেছিলেন।