কাজের মেয়েকে হত্যা: স্বামী -স্ত্রীর যাবজ্জীবন দণ্ড
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর এলাকার শান্তা গ্রামে কাজের মেয়ে সামছুন নাহার (১০) হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদা
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝ গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে কাজি মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী রব্বানু বেগম। রায় ঘোষণার সময় আসামি মতিউর উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী পলাতক ছিল।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
জয়পুরহাট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহনুর রহমান শাহিন পিপি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আক্কেলপুর উপজেলার কেশবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মামলার বাদী নিহত সামছুন নাহারের বড় বোন আফরোজা বেগম তার মামলায় অভিযোগ করেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝ গ্রামের মতিয়র রহমান দম্পতির বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে সামছুন নাহার কাজ করতো। ১৯৯৮ সালের ২৫মে রাতে মামলার বাদী আফরোজা বেগম লোক মুখে জানতে পারেন সামছুন নাহার বিষ (কীটনাশক) খেয়ে আক্কেলপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। রাতে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা (ইউডি) হয়। আক্কেলুর থানা পুলিশ বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য শিশু সামছুন নাহারের ভিসেরার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকার মহাখালী পরীক্ষক সিআইডি বরাবর প্রেরণ করে। ২০০১ সালে ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনে সামছুন নাহারকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় নিহত সামছুন নাহারের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিয়র দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তৎকালীন তদন্তকারি কর্মকর্তা আক্কেলপুর থানার উপ-সহকারি (এসআই) পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মাওলা মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৫ মার্চ মতিয়র দম্পতির রিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় দেন আদালত।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শাহনুর রহমান শাহিন, নুর-ই-আলম সিদ্দিক এপিপি আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।