মৌলভীবাজারে পুলিশের অবহেলায় বিপন্ন একটি পরিবার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৭:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের অবহেলার কারণে অভিযুক্তদের দ্বিতীয়বার অতর্কিত হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে পরিবারের বাবা, মা ও দুই ভাই। এখন তারা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে । দ্বিতীয়বার অতর্কিত হামলার ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ১৬ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শহরতলীর গন্ডেহরি গ্রামে।
থানায় দায়েরী প্রথম অভিযোগ ও ভূক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে- পানি নিষ্কাষণের স্থান নিয়ে গন্ডেহরি গ্রামের হাজী আব্দুর রশিদ’র পরিবারকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছিলো একই বাড়ীর বাসিন্দা মৃতঃ আব্দুর রহমানের পুত্র রুমেন, সাইফুল, রাজু, তাদের মা জবা বেগম, রুমেনের স্ত্রী শাপলা ও সাইফুলের স্ত্রী শিরিন।
এর জের ধরে ১৫ জানুয়ারী বিকাল ৩টার দিকে তারা একজোট হয়ে হাজী আব্দুর রশিদ বাড়ীতে এসে গালিগালাজ ও তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তারা হাজী আব্দুর রশিদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে মারধোর করে এবং তার গলায় থাকা ১ ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় হাজী আব্দুর রশিদ ও মনোয়ারা বেগমের শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে আহত হওয়া হাজী আব্দুর রশিদ স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এবং মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পেয়ে পরদিন ১৬ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার সকালে আবারও রুমেন, সাইফুল, রাজু, তাদে মা জবা বেগম, রুমেনের স্ত্রী শাপলা ও সাইফুলের স্ত্রী শিরিন লাঠিসোটা নিয়ে হাজী আব্দুর রশিদের বাড়ীতে পুনরায় এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাজী আব্দুর রশিদ, মনোয়ারা বেগম, তাদের পুত্র রুহুল আলম রনি (সাংবাদিক) ও রেজাউল ইসলাম সানিকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। তাদের মধ্যে রুহুল আলম রনির অবস্থা ভয়াবহ,বর্তমানে তারা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী আব্দুর রশিদ থানায় ফোন করে এ ঘটনা জানান। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এদিকে, পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে- মৃতঃ আব্দুর রহমান ভূক্তভোগী হাজী আব্দুর রশিদের আপন বড়ভাই।
অভিযুক্তরা হাজী আব্দুর রশিদের আপন ভাবী, ভাতিজা ও ভাতিজাদের স্ত্রী এবং তারা সবাই একই বাড়ীর বাসিন্দা। রুমেন, সাইফুল, রাজু ও শাপলা মাদকসেবী এবং রুমেন ও তার স্ত্রী শাপলা গাঁজা ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাড়ীতে প্রায় প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত গাঁজাসেবী ক্রেতাদের অনাগোনা হয়ে থাকে। একপর্যায়ে রুহুল আলম রনি (সাংবাদিক) বিষয়টি টের পেয়ে তার পিতা হাজী আব্দুর রশিদকে অবহিত করে এবং সংশ্লিষ্টদেরকে আপত্তি জানাতে থাকে। মূলতঃ এর জেরেই প্রতিপক্ষরা পানি নিষ্কাষণের স্থান নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি ও নানাভাবে হয়রানী করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তরা ১৫ জানুয়ারী হাজী আব্দুর রশিদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে মারধোর করে। এ ঘটনায় হাজী আব্দুর রশিদ থানায় অভিযোগ দায়ের করার খবর পেয়ে ১৬ জানুয়ারী অভিযুক্তরা আবারও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাজী আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী-পুত্রদেরকে রক্তাক্ত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন- ঘটনাটি তদন্ত করেছি, আইননুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।