ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ১১তম প্রয়াণ দিবস পালন

পাবনা প্রতিনিধি 
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনায় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ১১তম প্রয়াণ দিবস তার জন্মস্থান পালন করা হয়েছে। দিনটি পালন উপলক্ষে সকালে পাবনা জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পুষ্পামাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় পাবনা শহরের হেমাসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পাবনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: জাহাঙ্গীর আলম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান হয়। এরপর সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা: রাম দুলাল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু, সহ-সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খোকন প্রমূখ।

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলায় জন্ম নেন এই দীপ্তিময় প্রতিভা। নয় ভাইবোনের মধ্যে সুচিত্রা ছিলেন পঞ্চম। বাড়ির ছোটরা ডাকতেন রাঙাদি বলে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা। পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তা বদলে রাখেন সুচিত্রা। কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালায় খাতায় কলমে তাঁর নাম ছিল কৃষ্ণা দাশগুপ্ত।

পাবনার উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে রমা বনেদি পরিবারের বধু হয়ে ঘর সংসারের পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ১৯৫২ সালে “শেষ কোথায়” নামের একটি বাংলা ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। অজ্ঞাত কারণে ছবিটি মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে নায়িকা হয়ে তার অভিনীত প্রথম ছবি “সাত নম্বর কয়েদি” ছবিটি মুক্তি পায়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছর সুচিত্রা সেন একটানা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন। স্বামী দিবানাথ সেনের প্রবল আপত্তি থাকলেও সুচিত্রা সেন মনের তাগিদে নিজেকে অভিনয়ে জড়িয়ে রাখেন। ‘সাত নম্বর কয়েদি’ ছবির পরিচালক ছিলেন সুকুমার দাশগুপ্ত। 

তারই একজন সহকারী পরিচালক নীতিশ রায় এ ছবিতে অভিনয় করার পর ছবি মুক্তির সময় রমা নাম বদলে নাম দেন ‘সুচিত্রা সেন’। এরপর থেকেই কিশোরী বেলার বান্ধবিদের রমা বাবা-মায়ের দেওয়া নাম রমা দাশগুপ্ত থেকে স্বামীর পদবী নিয়ে রমা সেন সবশেষে স্বপ্নসুন্দরী সুচিত্রা সেন হয়ে যান। সুচিত্রা সেন বাংলা ৫৬টি ও ৭টি হিন্দি মিলে মোট ৬৩টি ছবিতে নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি হয়ে বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। ১৯৭৮ সালে উত্তম কুমার মারা গেলে সিনেমায় অভিনয় বন্ধ করে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাবনায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ১১তম প্রয়াণ দিবস পালন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পাবনায় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ১১তম প্রয়াণ দিবস তার জন্মস্থান পালন করা হয়েছে। দিনটি পালন উপলক্ষে সকালে পাবনা জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পুষ্পামাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় পাবনা শহরের হেমাসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পাবনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: জাহাঙ্গীর আলম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান হয়। এরপর সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা: রাম দুলাল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু, সহ-সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খোকন প্রমূখ।

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলায় জন্ম নেন এই দীপ্তিময় প্রতিভা। নয় ভাইবোনের মধ্যে সুচিত্রা ছিলেন পঞ্চম। বাড়ির ছোটরা ডাকতেন রাঙাদি বলে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা। পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তা বদলে রাখেন সুচিত্রা। কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালায় খাতায় কলমে তাঁর নাম ছিল কৃষ্ণা দাশগুপ্ত।

পাবনার উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে রমা বনেদি পরিবারের বধু হয়ে ঘর সংসারের পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ১৯৫২ সালে “শেষ কোথায়” নামের একটি বাংলা ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। অজ্ঞাত কারণে ছবিটি মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে নায়িকা হয়ে তার অভিনীত প্রথম ছবি “সাত নম্বর কয়েদি” ছবিটি মুক্তি পায়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছর সুচিত্রা সেন একটানা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন। স্বামী দিবানাথ সেনের প্রবল আপত্তি থাকলেও সুচিত্রা সেন মনের তাগিদে নিজেকে অভিনয়ে জড়িয়ে রাখেন। ‘সাত নম্বর কয়েদি’ ছবির পরিচালক ছিলেন সুকুমার দাশগুপ্ত। 

তারই একজন সহকারী পরিচালক নীতিশ রায় এ ছবিতে অভিনয় করার পর ছবি মুক্তির সময় রমা নাম বদলে নাম দেন ‘সুচিত্রা সেন’। এরপর থেকেই কিশোরী বেলার বান্ধবিদের রমা বাবা-মায়ের দেওয়া নাম রমা দাশগুপ্ত থেকে স্বামীর পদবী নিয়ে রমা সেন সবশেষে স্বপ্নসুন্দরী সুচিত্রা সেন হয়ে যান। সুচিত্রা সেন বাংলা ৫৬টি ও ৭টি হিন্দি মিলে মোট ৬৩টি ছবিতে নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি হয়ে বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। ১৯৭৮ সালে উত্তম কুমার মারা গেলে সিনেমায় অভিনয় বন্ধ করে।