সীমান্তে চোরাচালন রোধে জনসচেতনামূলক সভা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি’র) উদ্যোগে সীমান্ত এলাকায় বাল্লা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা চুনারুঘাটের বাল্লা তিন কোনা খেলার মাঠে সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালন ও মাদক পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ তানজিলুর রহমান সভায় বলেন,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের ভৌগলিক সীমানা সুরক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন টহল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আমরা চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করেছেন। মাদকদ্রব্য চোরাচালান রোধে বিজিবি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে। তবে এই কাজে সফল হতে সকল স্থরের জনসাধারণের জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী।
অধিনায়ক আরও জানান, ৫৫ বিজিবি’র অধীনস্থ প্রতিটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সীমায়ে টহল দিচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ বিজিবিকে সহযোগিতা করলে মাদক চোরাচালান রোধ আরও সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ধর্মীয় উপাসনালয় যেমন মসজিদ, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে ইমাম, পুরোহিত এবং ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তাঁরা যেন তাঁদের ধর্মীয় ভাষণে মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও চোরাচালানের বিপদ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে চুনারুঘাট অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুর আলম বলেন, বিজিবি’র এই গনজাগরণী অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি বলেন, বিজিবি কর্তৃক আয়োজিত এই জনসচেতনামূলক সভার মাধ্যমে সীমান্তের জনসাধারণকে সচেতন করে গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বিজিবি’র সীমান্তে টহল তৎপরতার মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা সবসময় বিজিবি’র পাশে থেকে দেশের সেবা করে যাবো।
আলোচনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং চা বাগান ম্যানেজারদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বিজিবি’র পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তাঁরা যেন সীমান্তবর্তী জনগণকে সচেতন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক এবং স্থানীয় জনসাধারণ।