আদমদীঘিতে তিন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করে আম জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করেছে।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর পূর্ব বাজারের এমরান হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় ধাওয়া করে বগুড়ার আদমদীঘিতে তিন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার আমইল গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার বিকাশ এজেন্ট তিলকপুর হাইস্কুল পাড়ার এমরান হোসেন বলেন, তিনি তিলকপুর পূর্ব বাজার বটতলা এলাকায় এমরান অটো ব্যাটারি হাউজ দোকানে একই সাথে বিকাশের এজেন্ট ব্যবসা ও করেন। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাইসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। এমন সময় বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র তিনজন ছিনতাইকারী তার হাতে থাকা টাকাসহ ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বাঁধন নামের একজন ছিনতাইকারীকে আটক করলেও অন্য দুইজন মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে আদমদীঘি উপজেলায় মধ্যে ঢুকে পরে। ধাওয়া করা জনতা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইকারি দের বিষয়টি জানিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই শত শত লোকজন বেড়িয়ে এসে আদমদীঘির আমইল গ্রামের সাইদুলের দোকানের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাইকারী রাজু পালোয়ান ও কলমকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা ছিনতাইকারি রাজুর পায়ের রগ কেটে দেয়। আহত অবস্থায় আটককৃতদের পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
আটককৃত ছিনতাইকারীরা হলো-আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ান গ্রাম চৌধুরী পাড়ার মোস্তাকিন পালোয়ানের ছেলে রাজু পালোয়ান (৩১) একই এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে কলম (৩০) ও চয়েন চৌকিদারের ছেলে বাঁধন (২৬) । এরমধ্যে রাজু পালোয়ান ও কলমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ও বাঁধনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। সেই সাথে আটক ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ধারালো চাকু, ১৯ হাজার টাকা, বিকাশের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট, ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা টাইমসকে বলেন, তিন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আদমদীঘি, আক্কেলপুর ও জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনাটি আক্কেলপুর থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানেই মামলা বা অভিযোগ দায়ের হবে।