ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাক্সবন্দী আমতলীর ২৯ পোস্ট-ই সেন্টারের কার্যক্রম

মাহবুব বিশ্বাস, বরগুনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনার আমতলী উপজেলা ডাক বিভাগের ২৯ টি পোস্ট ই-সেন্টারের কার্যক্রম বাক্সবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের দুয়ারে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার পোস্ট-ই সেন্টারের লাখ লাখ টাকার কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামাদী ব্যবহার না করায় অকোজো অবস্থায় পড়ে আছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় পোস্ট-ই সেন্টারের ই-সেবা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে জনসাধারণ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের দ্বোর গোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌছে দিতে দ্রæত এর কার্যক্রম সচলের দাবী।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ২৯ টি শাখা পোস্ট অফিস ও পোস্ট ই-সেন্টার রয়েছে। ওই পোস্ট সেন্টারে একজন পোস্ট মাস্টার, পিয়ন, রানার ও দুইজন উদ্যোক্তা রয়েছেন।

স্থানীয় বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতকরণে ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ ৩ টি ল্যাপটপ, লেজার প্রিন্টার, রঙ্গিন প্রিন্টার, স্ক্যানারসহ কয়েক লাখ টাকার কম্পিউটার সামগ্রী প্রদান করেছেন। কিন্ত অভিযোগ রয়েছে পোস্ট-ই সেন্টারের উদ্যোক্তারা যুবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না। এতে ওই সেন্টার গুলোর প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি অকেজো হয়ে পরেছে। পোস্ট-ই সেন্টারগুলো প্রায়ই বন্ধ থাকে। এতে যুবকরা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারছে না। আরো অভিযোগ রয়েছে উদ্যোক্তারা প্রশিক্ষণের সরাঞ্জামাদি তাদের বাড়ীতে নিয়ে রেখেছেন।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ২৯ টি ই-সেন্টারের প্রশিক্ষণের সকল সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পরেছে। কুকুয়া ইউনিয়নের হাট চুনাখালী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট, গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া পোস্ট অফিসসহ বেশ কয়েকটি পোস্ট ই-সেন্টার ঘুরে দেখাগেছে, বেশীরভাগ সেন্টারই অতিত্ব নেই। কোন কোন সেন্টারে নাম সর্বস্ব একটি সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। এ সকল সেন্টারের ডাক বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত সরঞ্জামগুলো ব্যবহার না করে বাক্সবন্দী এবং পোস্ট মাস্টার ও উদ্যোক্তাদের বাড়ীতে রেখে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, উদ্যোক্তারা ল্যাপটপ বাড়ীতে রেখে দিয়েছেন। কোন উদ্যোক্তা সাধারণ মানুষকে সেবা দিচ্ছে না। পোস্ট অফিসে গেলে মানুষ ফিরে আসছেন।

হাটচুনাখালী পোস্ট ই সেন্টারের উদ্যোক্তা শাহ জাহান মিয়া বলেন, পোস্ট অফিসের ভবন নেই, তাই বাসায় বসে কাজ করছি।

আমতলী উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলার ২৯ টি শাখা পোস্ট অফিসগুলোর ই-সেন্টারের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

পটুয়াখালী পোস্ট অফিস পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, যে সকল শাখা পোস্ট অফিসে ই-সেন্টার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে তা সচল করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাক্সবন্দী আমতলীর ২৯ পোস্ট-ই সেন্টারের কার্যক্রম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলা ডাক বিভাগের ২৯ টি পোস্ট ই-সেন্টারের কার্যক্রম বাক্সবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের দুয়ারে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার পোস্ট-ই সেন্টারের লাখ লাখ টাকার কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামাদী ব্যবহার না করায় অকোজো অবস্থায় পড়ে আছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় পোস্ট-ই সেন্টারের ই-সেবা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে জনসাধারণ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের দ্বোর গোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌছে দিতে দ্রæত এর কার্যক্রম সচলের দাবী।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ২৯ টি শাখা পোস্ট অফিস ও পোস্ট ই-সেন্টার রয়েছে। ওই পোস্ট সেন্টারে একজন পোস্ট মাস্টার, পিয়ন, রানার ও দুইজন উদ্যোক্তা রয়েছেন।

স্থানীয় বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতকরণে ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ ৩ টি ল্যাপটপ, লেজার প্রিন্টার, রঙ্গিন প্রিন্টার, স্ক্যানারসহ কয়েক লাখ টাকার কম্পিউটার সামগ্রী প্রদান করেছেন। কিন্ত অভিযোগ রয়েছে পোস্ট-ই সেন্টারের উদ্যোক্তারা যুবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না। এতে ওই সেন্টার গুলোর প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি অকেজো হয়ে পরেছে। পোস্ট-ই সেন্টারগুলো প্রায়ই বন্ধ থাকে। এতে যুবকরা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারছে না। আরো অভিযোগ রয়েছে উদ্যোক্তারা প্রশিক্ষণের সরাঞ্জামাদি তাদের বাড়ীতে নিয়ে রেখেছেন।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ২৯ টি ই-সেন্টারের প্রশিক্ষণের সকল সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পরেছে। কুকুয়া ইউনিয়নের হাট চুনাখালী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট, গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া পোস্ট অফিসসহ বেশ কয়েকটি পোস্ট ই-সেন্টার ঘুরে দেখাগেছে, বেশীরভাগ সেন্টারই অতিত্ব নেই। কোন কোন সেন্টারে নাম সর্বস্ব একটি সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। এ সকল সেন্টারের ডাক বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত সরঞ্জামগুলো ব্যবহার না করে বাক্সবন্দী এবং পোস্ট মাস্টার ও উদ্যোক্তাদের বাড়ীতে রেখে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, উদ্যোক্তারা ল্যাপটপ বাড়ীতে রেখে দিয়েছেন। কোন উদ্যোক্তা সাধারণ মানুষকে সেবা দিচ্ছে না। পোস্ট অফিসে গেলে মানুষ ফিরে আসছেন।

হাটচুনাখালী পোস্ট ই সেন্টারের উদ্যোক্তা শাহ জাহান মিয়া বলেন, পোস্ট অফিসের ভবন নেই, তাই বাসায় বসে কাজ করছি।

আমতলী উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলার ২৯ টি শাখা পোস্ট অফিসগুলোর ই-সেন্টারের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

পটুয়াখালী পোস্ট অফিস পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, যে সকল শাখা পোস্ট অফিসে ই-সেন্টার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে তা সচল করার উদ্যোগ নেয়া হবে।