ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কে হচ্ছেন ট্রুডো’র উত্তরসূরি

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবশেষে পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ‘খলিস্তান প্রেমের’ জন্য দলের অন্দরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষমেশ চাপের মুখে গদি ছাড়তে হল তাকে। আপাতত, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার কানাডার শাসকদল ‘লিবারেল পার্টি’র নেতা হিসেবেও পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। নয় বছরের শাসনকালে তার বিদেশনীতি মূলমন্ত্রই ছিল ভারত-বিদ্বেষ। কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক হাতে রাখতে খলিস্তানিদের মুক্তহস্তে সাহায্য ও রসদ জুগিয়েছেন ট্রুডো। তার আমলেই কানাডার মাটিতে ফুলেফেঁপে ওঠে নিষিদ্ধ ‘শিখস ফর জাস্টিস’ ও ‘বব্বর খালসা’র মতো খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। দেশটির একাধিক শহরে মন্দির ও ভারতীয় কনসুলেটগুলোকে নিশানা করে খলিস্তানিরা।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) ট্রুডো নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। আর তার পরেই ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

সোমবার কানাডার সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ন’বছর ধরে প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে সরকার এবং দলের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন ট্রুডো। আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের আঁচ পেয়েই তিনি ও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রুডো ইস্তফার ঘোষণা করলেন।

লিবারেল পার্টির প্রভাবশালী নেতা তথা সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডর সঙ্গে সংঘাতও ট্রুডোর ইস্তফার অনুঘটক বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই তিন সপ্তাহ আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন ফ্রিল্যান্ড।

এছাড়া, সরকার বাঁচাতে খলিস্তানপন্থী নেতা জগমীত সিংহের দল নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থন নেওয়ার কারণেও দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো। তার জমানায় নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছিল।

২০১৩ সালে কানাডার পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়ার পরে দলের নেতৃত্বে এসেছিলেন ট্রুডো। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে আগামী ২০ জানুয়ারি কানাডার প্রতিবেশী আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় সে দেশে নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কে হচ্ছেন ট্রুডো’র উত্তরসূরি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

অবশেষে পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ‘খলিস্তান প্রেমের’ জন্য দলের অন্দরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষমেশ চাপের মুখে গদি ছাড়তে হল তাকে। আপাতত, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার কানাডার শাসকদল ‘লিবারেল পার্টি’র নেতা হিসেবেও পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। নয় বছরের শাসনকালে তার বিদেশনীতি মূলমন্ত্রই ছিল ভারত-বিদ্বেষ। কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক হাতে রাখতে খলিস্তানিদের মুক্তহস্তে সাহায্য ও রসদ জুগিয়েছেন ট্রুডো। তার আমলেই কানাডার মাটিতে ফুলেফেঁপে ওঠে নিষিদ্ধ ‘শিখস ফর জাস্টিস’ ও ‘বব্বর খালসা’র মতো খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। দেশটির একাধিক শহরে মন্দির ও ভারতীয় কনসুলেটগুলোকে নিশানা করে খলিস্তানিরা।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) ট্রুডো নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। আর তার পরেই ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

সোমবার কানাডার সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ন’বছর ধরে প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে সরকার এবং দলের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন ট্রুডো। আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের আঁচ পেয়েই তিনি ও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রুডো ইস্তফার ঘোষণা করলেন।

লিবারেল পার্টির প্রভাবশালী নেতা তথা সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডর সঙ্গে সংঘাতও ট্রুডোর ইস্তফার অনুঘটক বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই তিন সপ্তাহ আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন ফ্রিল্যান্ড।

এছাড়া, সরকার বাঁচাতে খলিস্তানপন্থী নেতা জগমীত সিংহের দল নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থন নেওয়ার কারণেও দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো। তার জমানায় নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছিল।

২০১৩ সালে কানাডার পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়ার পরে দলের নেতৃত্বে এসেছিলেন ট্রুডো। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে আগামী ২০ জানুয়ারি কানাডার প্রতিবেশী আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় সে দেশে নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।