ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচএমপিভি ভাইরাস

নতুন মহামারির শঙ্কা

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারা বিশ্বে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এইচএমপিভি ভাইরাস। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে চীনে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

এখন এর প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ছাড়িয়ে ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে দুই শিশুর দেহে এইচএমপিভি ভাইরাস পাওয়া গেছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়েই এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এনডিটিভির

বিবৃতিতে জানানো হয়, রুটিন স্ক্রিনিংয়ের সময় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের নজরে আসে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার দুটি তথ্য। আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স তিন মাস। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গেলে ওই কন্যাশিশুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য শিশুর বয়স আট মাস। বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে ভারতে এই প্রথম এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে মানতে নারাজ কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও।

দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন আর জাপানে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। চীনের চ্যচিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের চিলড্রেনস হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র রোগ বিভাগের প্রধান থাং লানফাং জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইচএমপিভি সংক্রমণ মৃদু হয়। তবে কিছু শিশুর সংক্রমণের পর নিউমোনিয়া হতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, দুর্বলতা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হবে। এই ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনও অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই বলে উল্লেখ করেছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা। বিশ্রাম, হালকা খাবার, উপযুক্ত পোশাক পরা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা এবং জনাকীর্ণ স্থান এড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা এই ভাইরাস নিয়ে এখনও কোনো সতর্কতা জারি করেনি। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ১৪ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ২১৩টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হন ১৭ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে মারা যান ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫১২ জন। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হবে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাদের। এইচএমপিভি ভাইরাসকে মৌসুমী ফ্লু-ও বলা যায়।

ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। তবে ভাইরাসটি কতোটা ভয়াবহ হবে? শরীর ও জীবনের জন্য এটি কেমন হুমকি হতে পারে?

ভাইরাস হলো অতিক্ষুদ্র সংক্রামক, যা শুধুমাত্র একটি জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ভাইরাস উদ্ভিদ, প্রাণী থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া, আর্কিয়াসহ সব জীবজগতকে আক্রান্ত করে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রেই ভাইরাস পাওয়া যায়। এরা হলো সবচেয়ে বহুল সংখ্যক জৈবিক সত্ত্বা। ২০০১ সালে প্রথম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আবিষ্কার হয়। আবিষ্কারেরও ৬০ বছর আগে থেকে ভাইরাসটি মানবজগতে রয়েছে, ফলে কোভিডের মতো নভেল বা নতুন ধরনের ভাইরাস এইচএমপিভি নয়। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হবেন। চীনে সম্প্রতি এটি শনাক্ত হয়। ভাইরাসের প্রকোপে চীনে প্রচুর মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। গত বছর চীনে ৩২৪ জন এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ২২৫।

তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন বলেন, শ্বাসতন্ত্রে ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এটি। অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের ভাইরাসের আক্রমণের মতোই, যার উপসর্গ হিসেবে জ্বর-স্বর্দি-কাশি-ঠান্ডা হয়ে থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বসবাসের অনুপযোগী পরিবেশ, ভেজাল খাদ্য, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি থাকায় বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বেড়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবন-জীবিকা ও স্বাস্থ্যের ওপর। এর ফলে শুধু ভাইরাস নয়, কয়েক বছর ধরে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এতে দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এইচএমপিভি ভাইরাস

নতুন মহামারির শঙ্কা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

সারা বিশ্বে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এইচএমপিভি ভাইরাস। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে চীনে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

এখন এর প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ছাড়িয়ে ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে দুই শিশুর দেহে এইচএমপিভি ভাইরাস পাওয়া গেছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়েই এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এনডিটিভির

বিবৃতিতে জানানো হয়, রুটিন স্ক্রিনিংয়ের সময় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের নজরে আসে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার দুটি তথ্য। আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স তিন মাস। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গেলে ওই কন্যাশিশুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য শিশুর বয়স আট মাস। বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে ভারতে এই প্রথম এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে মানতে নারাজ কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও।

দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন আর জাপানে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। চীনের চ্যচিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের চিলড্রেনস হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র রোগ বিভাগের প্রধান থাং লানফাং জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইচএমপিভি সংক্রমণ মৃদু হয়। তবে কিছু শিশুর সংক্রমণের পর নিউমোনিয়া হতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, দুর্বলতা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হবে। এই ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনও অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই বলে উল্লেখ করেছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা। বিশ্রাম, হালকা খাবার, উপযুক্ত পোশাক পরা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা এবং জনাকীর্ণ স্থান এড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা এই ভাইরাস নিয়ে এখনও কোনো সতর্কতা জারি করেনি। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ১৪ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ২১৩টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হন ১৭ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে মারা যান ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫১২ জন। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হবে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাদের। এইচএমপিভি ভাইরাসকে মৌসুমী ফ্লু-ও বলা যায়।

ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। তবে ভাইরাসটি কতোটা ভয়াবহ হবে? শরীর ও জীবনের জন্য এটি কেমন হুমকি হতে পারে?

ভাইরাস হলো অতিক্ষুদ্র সংক্রামক, যা শুধুমাত্র একটি জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ভাইরাস উদ্ভিদ, প্রাণী থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া, আর্কিয়াসহ সব জীবজগতকে আক্রান্ত করে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রেই ভাইরাস পাওয়া যায়। এরা হলো সবচেয়ে বহুল সংখ্যক জৈবিক সত্ত্বা। ২০০১ সালে প্রথম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আবিষ্কার হয়। আবিষ্কারেরও ৬০ বছর আগে থেকে ভাইরাসটি মানবজগতে রয়েছে, ফলে কোভিডের মতো নভেল বা নতুন ধরনের ভাইরাস এইচএমপিভি নয়। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হবেন। চীনে সম্প্রতি এটি শনাক্ত হয়। ভাইরাসের প্রকোপে চীনে প্রচুর মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। গত বছর চীনে ৩২৪ জন এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ২২৫।

তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন বলেন, শ্বাসতন্ত্রে ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এটি। অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের ভাইরাসের আক্রমণের মতোই, যার উপসর্গ হিসেবে জ্বর-স্বর্দি-কাশি-ঠান্ডা হয়ে থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বসবাসের অনুপযোগী পরিবেশ, ভেজাল খাদ্য, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি থাকায় বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বেড়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবন-জীবিকা ও স্বাস্থ্যের ওপর। এর ফলে শুধু ভাইরাস নয়, কয়েক বছর ধরে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এতে দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।