অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ হাইকোর্টের
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এর ডিভিশন বেঞ্চ একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ রিট মামলায় আদালতকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনজন অ্যামিরিকাস কিউরি নিয়োগ করেছেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন অ্যামিকাস কিউরিগণ হলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ মোরশেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
রোববার হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এর ডিভিশন বেঞ্চ এক আদেশে উক্ত তিনজনকে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন।
২০২০ সালে বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি সরদার মোঃ রাশেদ জাহাঙ্গীর এর ডিভিশন বেঞ্চ একটি স্যু-ম্যুটো রুল জারি করেন। উক্ত রুলে বাংলাদেশের সকল মানুষকে নিরাপদ পানযোগ্য পানি বিনামূল্যে সরবরাহ করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আদেশ দেওয়া কেন হবে না এই মর্মে কারণ দর্শাতে রুল জারি করেছিলেন। ঐ রুলের শুনানীর একপর্যায়ে এ বিষয়ে আদালতকে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য তিনজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন।
আগামী দুই সপ্তাহ পরে এ বিষয়ে নিয়োগকৃত অ্যামিকাস কিউরিগন আদালতে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।
মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যামিকাস কিউরি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ” প্রত্যেক নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকার বা জীবনধারণের অধিকার আমাদের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি অন্যতম মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাবার উপযোগী পানি ছাড়া মানুষ জীবন ধারণ করতে পারে না, মানুষের মৃত্যু হয় এবং অনিরাপদ পানি সেবনের কারণে মানুষ দুরারোগ্য ক্যান্সার, ডায়রিয়াসহ ভয়াভয় রোগে আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ নিরাপদ পানযোগ্য পানি মানুষের অন্য যেকোনো নাগরিক অধিকারের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই নিরাপদ পানযোগ্য পানির অধিকার সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের একটি মৌলিক অধিকার। বিশ্বের অনেক দেশে এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট আইন রয়েছে এবং অনেক দেশে নিরাপদ পানি পাওয়ার অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার পল্লব আরো বলেন, বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় একটি যুগান্তকারী মামলা যার মাধ্যমে দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নতি হবে। কাজেই আদালতকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারলে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে “।