বিক্ষোভের ডাক দিলেন জোবায়ের পন্থিরা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
দেশব্যাপী আগামী ১০ জানুয়ারি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের গ্রেপ্তার, বিচার ও নিষিদ্ধ করার দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তাবলিগ জামাতের জোবায়েরপন্থিরা।
এ সময় তারা জানান, গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলায় সাদপন্থিরা জড়িত। এসব দাবি মানা না হলে ২৫ জানুয়ারি দেশের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের নিয়ে সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এর আগেও সাদপন্থিরা হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন জোবায়েরপন্থি হিসেবে পরিচিত মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালেও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার বিচার হলে ২০২৪ এর ডিসেম্বরে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটত না। এবারও যদি হামলাকারীরা ছাড় পেয়ে যায়, তবে ভবিষ্যতে আবারও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। সাদপন্থিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ‘অপশক্তির যোগসাজশ’ আছে দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নাজমুল হাসান কাসেমী।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, এখানে তারা হেফাজতের নেতা হিসেবে নয়, আলেম-ওলামা হিসেবে এসেছেন। তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম যদি ইসলাম ধর্মের কাজ হয়ে থাকে, তবে কোরআন ও সুন্নাহর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আলেমরাই দেবেন। তাবলিগের দুই পক্ষের সমস্যা সমাধানে আলেমরা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছেন। সরকারও চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। হামলা ও হত্যার শাস্তি হওয়া উচিত। তাবলিগের কাজ নিয়ে ভারতের একজন ব্যক্তির বিতর্কিত মন্তব্যে সে দেশে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের এ সমস্যা যেন বাংলাদেশে টেনে আনা না হয়। এখন বাংলাদেশে সবাই মিলেমিশে কাজ করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে যারা হত্যায় জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। হত্যাকাণ্ডের বিচার বিচারের জায়গায় আর আলোচনা আলোচনার জায়গায়।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে প্রথম পর্বের ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, প্রথম পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠানের কাজ চলমান। এটি যথাসময়ে হবে।