ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌষের শীতে কাঁপছে উপকূল

আবু হানিফ, বাগেরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পৌষের শীতে কাঁপছে বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূল। শুক্রবার (৩জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি এ অঞ্চলে। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটে কমেছে লোকসমাগম। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

অপরদিকে, হাড় কাঁপানো শীত পড়লেও তেমন বেচা-বিক্রি হচ্ছে না শীতের পোষাকের। জানা গেছে, উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার ও অন্যান্য হাট-বাজারে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই বল্লেই চলে।

এছাড়া, ফুটপাতের দোকানগুলোতেও নেই পুরনো শীতবস্ত্রের বেচা-বিক্রি। লাখ লাখ টাকার মাল তুলে চিন্তার ভাজ দোকানিদের কপালে।

দিনমজুর মহসিন, মন্টু মিয়া জানান, শীতে বাজারে লোকজন কম। দুদিন ধরে তাদের কাজও কমে গেছে। এমন অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ভ্যান চালক বাবুল মিয়া জানান, সারাদিনে ২০০ টাকাও আয় করতে পারেননি। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাজ করা যাচ্ছে না বলে জানান ঘাট শ্রমিক আ. লতিফ।

রায়েন্দা বাজারের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশের অস্থায়ী এই পুরনো শীতবস্ত্র বিক্রেতা আ. রাজ্জাক তালুকদার বলেন, যেভাবে শীত পড়ছে, সে তুলনায় বিক্রি হচ্ছে না। ধারদেনা করে এবছর দুই লাখ টাকার মাল (শীতবস্ত্র) তুলেছি। এই শীতে বিক্রি না হলে লোকসানে পড়তে হবে।

একইভাতে হতাশার কথা জানালেন শীতবস্ত্র বিক্রেতা শহিদুল, লোকমানসহ অন্যরা। রায়েন্দা বাজারের গার্মেন্ট ব্যবসায়ী তাপস ভৌমিক, মাসুদ আকন, জিয়া উদ্দিন জানান, শীতে বাজারে লোকজন কম। ক্রেতা সমাগম না থাকায় হাত- পা গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। লাখ লাখ টাকার মাল তুলে এখন চিন্তার পড়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পৌষের শীতে কাঁপছে উপকূল

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

পৌষের শীতে কাঁপছে বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূল। শুক্রবার (৩জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি এ অঞ্চলে। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটে কমেছে লোকসমাগম। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

অপরদিকে, হাড় কাঁপানো শীত পড়লেও তেমন বেচা-বিক্রি হচ্ছে না শীতের পোষাকের। জানা গেছে, উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার ও অন্যান্য হাট-বাজারে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই বল্লেই চলে।

এছাড়া, ফুটপাতের দোকানগুলোতেও নেই পুরনো শীতবস্ত্রের বেচা-বিক্রি। লাখ লাখ টাকার মাল তুলে চিন্তার ভাজ দোকানিদের কপালে।

দিনমজুর মহসিন, মন্টু মিয়া জানান, শীতে বাজারে লোকজন কম। দুদিন ধরে তাদের কাজও কমে গেছে। এমন অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ভ্যান চালক বাবুল মিয়া জানান, সারাদিনে ২০০ টাকাও আয় করতে পারেননি। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাজ করা যাচ্ছে না বলে জানান ঘাট শ্রমিক আ. লতিফ।

রায়েন্দা বাজারের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশের অস্থায়ী এই পুরনো শীতবস্ত্র বিক্রেতা আ. রাজ্জাক তালুকদার বলেন, যেভাবে শীত পড়ছে, সে তুলনায় বিক্রি হচ্ছে না। ধারদেনা করে এবছর দুই লাখ টাকার মাল (শীতবস্ত্র) তুলেছি। এই শীতে বিক্রি না হলে লোকসানে পড়তে হবে।

একইভাতে হতাশার কথা জানালেন শীতবস্ত্র বিক্রেতা শহিদুল, লোকমানসহ অন্যরা। রায়েন্দা বাজারের গার্মেন্ট ব্যবসায়ী তাপস ভৌমিক, মাসুদ আকন, জিয়া উদ্দিন জানান, শীতে বাজারে লোকজন কম। ক্রেতা সমাগম না থাকায় হাত- পা গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। লাখ লাখ টাকার মাল তুলে এখন চিন্তার পড়েছেন তারা।