ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা

অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি গাড়িটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় তিনটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়া বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি। এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বাসচালককে আটকের পর তার বরাতে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন র‌্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, বাসটি অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন। পরে দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।

র‍্যাব সদর দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব-১০ ও র‍্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজ এলাকা থেকে নূর উদ্দিনকে আটক করা হয়। তার বাড়ি ভোলার দৌলতখানের মধ্য জয়নগরে।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র‍্যাবকে বলেন, দুর্ঘটনার পর কৌশলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তিনি অটোরিকশায় করে আবদুল্লাহপুরে যান। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তিনি নারায়ণগঞ্জে ফুফাতো বোনের বাসায় যান। সেখান থেকে র‍্যাব তাকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে নূর উদ্দিন র‍্যাবকে বলেন, ১০ বছর ধরে তিনি বাস, ট্রাক, পিকআপসহ নানা ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছেন। তবে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। তিনি যে বাসটি চালাচ্ছিলেন, সেটির ফিটনেস সনদ ছিল না।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয়জনের প্রাণহানি হয়। আহত হয়েছেন আরও চারজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।

এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা

অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি গাড়িটি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় তিনটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়া বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি। এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বাসচালককে আটকের পর তার বরাতে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন র‌্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, বাসটি অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন। পরে দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।

র‍্যাব সদর দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব-১০ ও র‍্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজ এলাকা থেকে নূর উদ্দিনকে আটক করা হয়। তার বাড়ি ভোলার দৌলতখানের মধ্য জয়নগরে।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র‍্যাবকে বলেন, দুর্ঘটনার পর কৌশলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তিনি অটোরিকশায় করে আবদুল্লাহপুরে যান। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তিনি নারায়ণগঞ্জে ফুফাতো বোনের বাসায় যান। সেখান থেকে র‍্যাব তাকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে নূর উদ্দিন র‍্যাবকে বলেন, ১০ বছর ধরে তিনি বাস, ট্রাক, পিকআপসহ নানা ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছেন। তবে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। তিনি যে বাসটি চালাচ্ছিলেন, সেটির ফিটনেস সনদ ছিল না।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয়জনের প্রাণহানি হয়। আহত হয়েছেন আরও চারজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।

এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।