সচিবালয়ের ৮তলায় কুকুরটি উঠলো কীভাবে?
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
সচিবালয়ে আগুন লাগার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কারণ এখনো জানা যায়নি। আগুনে ৭ নম্বর ভবনের ৬তলা থেকে নয় তলা পর্যন্ত পুড়ে গেছে। সিসিটিভি ফুটেজসহ ডিভিআর পুড়ে গেছে। ভবনের ৮তলায় একটি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কুকুরকে নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো সচিবালয়ের ৮তলায় কীভাবে উঠলো কুকুরটি? কুকুরটিকে কি আগেই হত্যা করা হয়েছে, নাকি কুকুরের শরীরে বিষাক্ত কিছু আছে- নানা প্রশ্ন গুরপাক খাচ্ছে নেটিজেনদের মনে।
তবে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কুকুরটির মরদেহ ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়েছে। কুকুরটি ৮ তলায় কীভাবে উঠলো তা উদঘাটনেরও চেষ্টা চলছে। কুকুরটির শরীরে বিষাক্ত কিছু আছে কিনা তা জানান চেষ্টা করছে ফরেনসিক বিভাগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া সংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশে বিদেশি কুকুরকে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে অভ্যাস গড়ে তোলা হয়। কেউ ঘরে রাখার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে অভ্যাস গড়ে তোলে। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো বিদেশি কুকুরকে শিকারি কুকুর হিসাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলে। কিন্তু আমাদের দেশি প্রজাতির কুকুর যাকে আমরা স্ট্রিট ডগ বলে থাকি, তাদের চলাফেরা একেবারে ভিন্ন। স্ট্রিট ডগ পরিচিত এলাকায় থাকে। যেখানে সে খাবার পায় সেখানেই তার একটি প্রভুভক্ত জগত গড়ে তোলে। কোনো ব্যক্তির ওপর সন্দেহ হলেই সে ঘেউ ঘেউ করে। আবার জনশূন্য স্থানে সে বেশি সময় থাকবে না। সে খাবারের স্থানে চলে আসতে চাইবে।’
তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে আমি দুই-তিনবার গিয়েছি। কিন্তু ভবনগুলোতে কখনোই কুকুর ঘোরাঘুরি করতে দেখিনি। এ ক্ষেত্রে বাইরের কুকুর এত নিরাপত্তা বেষ্টনি ফাঁকি দিয়ে কখনোই সচিবালয়ে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে বা লিফটে করে ৮তলায় যাবে না। আর কলাবশিবল গেট খোলা পেয়ে একটি কুকুর কখনোই গোপনে সিঁড়ি বইবে না যদি সেখানে খাবারের উৎস থাকে। অনেক সময় স্মেলিং পাওয়ারের (গন্ধ) কারণে শক্রু পক্ষের সন্ধান পেলে কুকুর কিন্তু ঘেউ ঘেউ করে ওই স্থানে যাবে। এমন যদি হয়, সে ক্ষেত্রে তো সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সদস্যরাই ওই কুকুরকে প্রতিরোধ করবে। আমার কাছেও ওই ভবনের আট তলায় কুকুরের মরদেহ উদ্ধার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।