নির্বাচনের তপশিল কবে, জানালেন সিইসি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়ার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
সেই সাথে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে সিইসি বলেন, বর্তমান সরকারের ওপর দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেশি। এছাড়া ইসির ওপরও প্রত্যাশা বেশি। নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ভণ্ডুল হবে এমন পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, মানুষ যখন দেখতে পাবে যে নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তখন তারাই আমাদের পক্ষে দাঁড়াবে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আসার আগেই ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, সীমানা পুনঃনির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে ভুয়া ভোটার, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে জটিলতা নিরসন করা কঠিন হবে। একই সঙ্গে দল নিবন্ধনের জন্য যাচাইবাছাইকেও চ্যালেঞ্জ মানছেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কারও বয়স ১৮ বছর হলো কিন্তু কোনো ফয়সালা করলাম না, ভুয়া ভোটারের কোনো তালিকা করলাম না, তাহলে ভোটার তালিকা তৈরি করা খুব সহজ। মৃত ভোটার বর্তমান তালিকা থেকে বাদ যাক, এটি সবাই চাচ্ছে। তাই ভোটার তালিকা তৈরি করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডিসি-এসপি নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে, কেননা তাদের ওপর এখন চাপ নেই। আগে ওপর থেকে বিশাল একটা চাপ ছিল তাদের যেমন ‘তোমরা এমনভাবে নির্বাচন করবে যেন আমার দল জিতে’।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান সিইসি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভোটের আগেই ব্যাপক রদবদল হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে যত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তার সবই নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কিত এই নির্বাচনের সাত মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৮ আগস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর ২১ নভেম্বর গঠিত হয় নির্বাচন কমিশন।