ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা

আলু ক্ষেতে লেট ব্লাইট রোগ, ফলন নিয়ে শঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লালমনিরহাটে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ফলে এ অঞ্চলে আলু ক্ষেতে দেখা দিয়েছে লেট ব্লাইট বা নাবি ধসা রোগ। ফলে আলুর ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। কয়েক দিনের কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় গাছের পাতা কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে। কৃষকেরা আলু ক্ষেতে স্প্রে করে আসছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, তিস্তা চর এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ আগাম আলু চাষের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে আলু গাছের পাতায় রোগ দেখা দিয়েছে। পাতা সাদা হয়ে ধীরে ধীরে গাছ নুয়ে পড়ছে।

ছত্রাকজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় ফলন নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা। কুয়াশা কাটাতে নিয়মিত স্প্রে করায় খরচ বাড়ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনো আলুর মাঠ রক্ষা করে চলেছেন। এসব কারণে চলতি বছর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হতে পারে। কৃষকদের দাবি, কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না, গাছ মরে যাচ্ছে।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ জানায়, লালমনিরহাটে এ বছর ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

তিস্তাচরের কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, প্রতি বছর আমরা তিস্তা চরে আগাম আলু চাষাবাদ করি। এবারও আলু লাগিয়েছি কয়েক একর। কয়েক দিনের ঠান্ডা আর কুয়াশায় আলু ক্ষেতের অবস্থা খুবই খারাপ। মাঝে মাঝে গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করতেও প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে।

আদিতমারী উপজেলার আলু চাষি মামুন বলেন, ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষাবাদ করেছি। কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না। এভাবে ঘন কুয়াশা থাকলে ক্ষতির মুখে পরবো।

হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, দিন দিন শীত ও কুয়াশার প্রকোপ বাড়ছে। এতে আলু ক্ষেতে নাবি ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারীরা এ ছত্রাকনাশক দমনের জন্য কৃষকদের স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত রোগটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা

আলু ক্ষেতে লেট ব্লাইট রোগ, ফলন নিয়ে শঙ্কা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ফলে এ অঞ্চলে আলু ক্ষেতে দেখা দিয়েছে লেট ব্লাইট বা নাবি ধসা রোগ। ফলে আলুর ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। কয়েক দিনের কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় গাছের পাতা কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে। কৃষকেরা আলু ক্ষেতে স্প্রে করে আসছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, তিস্তা চর এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ আগাম আলু চাষের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে আলু গাছের পাতায় রোগ দেখা দিয়েছে। পাতা সাদা হয়ে ধীরে ধীরে গাছ নুয়ে পড়ছে।

ছত্রাকজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় ফলন নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা। কুয়াশা কাটাতে নিয়মিত স্প্রে করায় খরচ বাড়ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনো আলুর মাঠ রক্ষা করে চলেছেন। এসব কারণে চলতি বছর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হতে পারে। কৃষকদের দাবি, কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না, গাছ মরে যাচ্ছে।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ জানায়, লালমনিরহাটে এ বছর ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

তিস্তাচরের কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, প্রতি বছর আমরা তিস্তা চরে আগাম আলু চাষাবাদ করি। এবারও আলু লাগিয়েছি কয়েক একর। কয়েক দিনের ঠান্ডা আর কুয়াশায় আলু ক্ষেতের অবস্থা খুবই খারাপ। মাঝে মাঝে গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করতেও প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে।

আদিতমারী উপজেলার আলু চাষি মামুন বলেন, ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষাবাদ করেছি। কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না। এভাবে ঘন কুয়াশা থাকলে ক্ষতির মুখে পরবো।

হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, দিন দিন শীত ও কুয়াশার প্রকোপ বাড়ছে। এতে আলু ক্ষেতে নাবি ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারীরা এ ছত্রাকনাশক দমনের জন্য কৃষকদের স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত রোগটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।