ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাচ্য আকাদেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাকজমকপূর্ণ উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাচ্য আকাদেমি যশোরের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। পুরো আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল চারটায় প্রাচ্য গ্যালারিতে ফিতে কেটে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এ প্রদর্শনীতে প্রাচ্য আকাদেমির শিক্ষার্থীদের আঁকা মোট ৪৪ টি চিত্র স্থান পেয়েছে।

উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া চিত্রগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে প্রাচ্য অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আগামি পৃথিবীর পথনির্দেশ করবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সিরিয়াতে এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। আগামিতে হয়তো আরও অনেক জায়গায় এমনটা দেখা যাবে। সম্প্রতি ইকোনোমিস্টের বর্ষসেরা দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম স্থান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এই সাফল্য স্বীকৃতি জুলাই-আগস্টের নায়কদের, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।

প্রধান অতিথি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা নানান কালচার আত্মস্থ করেছে উপমহাদেশের মানুষ। সে কারণে এককভাবে কোন ব্যক্তি বা মতবাদ যদি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে বারবার জুলাই-আগস্ট ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, সব ধরণের সাংস্কৃতি যেমন আমরা ধারণ করতে পারি, তেমনি বর্জনও করতে পারি। জেলা প্রশাসক বলেন, কোন আন্দোলনেরই মূল লক্ষ্য ব্যক্তি বা রাষ্ট্র থাকে না। আন্দোলনের লক্ষ্য থাকে সেই সিস্টেমের বিরুদ্ধে, যে সিস্টেম সব ধরণে স্বাভাবিকতাকে ব্যহত করে। কোন রাষ্ট্রের কর্মকান্ড যদি অন্য রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যহত করে, আন্দোলন হয় সেই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। সে কারণেই ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদের আমরা রাস্তায় দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, এই ধরণের চিন্তা চেতনার সংগঠন দেশে খুবই কম। যশোরে প্রাচ্য সংঘ ও প্রাচ্য আকাডেমির মতো সংগঠন গড়ে তোলায় এর প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খানের প্রশংসা করেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাচ্য আকাদেমির প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান, প্রাচ্য আকাদেমির অধ্যক্ষ মো. আশরাফ হোসেন, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও প্রাচ্য আকাদেমির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তরিকুল ইসলাম তারেক। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর প্রাচ্য আকাদেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। পরে প্রধান অতিথি চিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিল্পীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রাচ্য আকাদেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

জাকজমকপূর্ণ উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাচ্য আকাদেমি যশোরের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। পুরো আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল চারটায় প্রাচ্য গ্যালারিতে ফিতে কেটে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এ প্রদর্শনীতে প্রাচ্য আকাদেমির শিক্ষার্থীদের আঁকা মোট ৪৪ টি চিত্র স্থান পেয়েছে।

উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া চিত্রগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে প্রাচ্য অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আগামি পৃথিবীর পথনির্দেশ করবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সিরিয়াতে এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। আগামিতে হয়তো আরও অনেক জায়গায় এমনটা দেখা যাবে। সম্প্রতি ইকোনোমিস্টের বর্ষসেরা দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম স্থান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এই সাফল্য স্বীকৃতি জুলাই-আগস্টের নায়কদের, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।

প্রধান অতিথি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা নানান কালচার আত্মস্থ করেছে উপমহাদেশের মানুষ। সে কারণে এককভাবে কোন ব্যক্তি বা মতবাদ যদি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে বারবার জুলাই-আগস্ট ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, সব ধরণের সাংস্কৃতি যেমন আমরা ধারণ করতে পারি, তেমনি বর্জনও করতে পারি। জেলা প্রশাসক বলেন, কোন আন্দোলনেরই মূল লক্ষ্য ব্যক্তি বা রাষ্ট্র থাকে না। আন্দোলনের লক্ষ্য থাকে সেই সিস্টেমের বিরুদ্ধে, যে সিস্টেম সব ধরণে স্বাভাবিকতাকে ব্যহত করে। কোন রাষ্ট্রের কর্মকান্ড যদি অন্য রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যহত করে, আন্দোলন হয় সেই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। সে কারণেই ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদের আমরা রাস্তায় দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, এই ধরণের চিন্তা চেতনার সংগঠন দেশে খুবই কম। যশোরে প্রাচ্য সংঘ ও প্রাচ্য আকাডেমির মতো সংগঠন গড়ে তোলায় এর প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খানের প্রশংসা করেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাচ্য আকাদেমির প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান, প্রাচ্য আকাদেমির অধ্যক্ষ মো. আশরাফ হোসেন, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও প্রাচ্য আকাদেমির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তরিকুল ইসলাম তারেক। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর প্রাচ্য আকাদেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। পরে প্রধান অতিথি চিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিল্পীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।