ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নো-বীফ’ খাবার হোটেল ভারত ও হিন্দুবাদীদের দালাল; বর্জনের দাবিতে সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নো-বীফ খাবার হোটেল ভারত ও হিন্দুবাদীদের দালাল, তাই এই ধরণের হোটেল বর্জনের দাবি জানিয়ে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ নামক একটি সংগঠন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় পুরান ঢাকার বংশালে নো-বীফ রেস্টুরেন্ট আল-রাজ্জাক হোটেলের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে তারা প্রত্যেকটি খাবার হোটেলে বাধ্যতামূলক গরুর গোশত রাখার দাবী জানান। অন্যথায় এসব হোটেল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ।

সমাবেশে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ শতকরা ৯৮ জন মানুষ হচ্ছেন মুসলমান। মুসলমানরা খাবার হোটেলে গরুর গোশত খেতে চায়। কিন্তু গরুর গোশতের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে কতিপয় খাবার হোটেল গরুর গোশত রাখতে চায় না। এতে মুসলিম ভোক্তারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গরুর গোশত খাওয়া ফরজ নয় তবে দ্বীন ইসলামের শিয়ার বা নিদর্শন। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আকিদার বিষয়টি যখন আসবে, তখন গরুর গোশত খাওয়া ঈমানের অঙ্গ হওয়ার কারণে ফরজ হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা বাকারার ২০৮ নম্বর আয়াতের শানে নুযূল বলা হয়েছে- বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু পূর্বে ইহুদী ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ইহুদীরা উটের গোশত খায় না। সে কারণে আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কখনো উটের গোশত খান নাই। যেহেতু তিনি উটের গোশত কখনো খান নাই সেহেতু ঈমান এনে মুসলমান হওয়ার পর উটের গোশত খাওয়া উনার জন্য বিব্রতকর ছিলো। তিনি একদিন বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমিতো কখনো উটের গোশত খাই নাই, আমাকে উটের গোস্ত না খাওয়ার অনুমতি দিন। এসময় আল্লাহ পাক ওহী নাজিল করলেন- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ কর। শয়তানকে অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” (সূরা বাক্বারা শরীফ : ২০৮) অর্থাৎ যদিও উটের গোশত খাওয়া ফরজ নয়, কিন্তু এ আয়াত শরীফ অনুসারে, ইহুদী ধর্মের বিষয়টি যখন সামনে আসছে, তখন উটের গোশত একজন মুসলমানের জন্য ফরজ হয়ে গেছে, ঈমানের অঙ্গ হয়ে গেছে। তেমনি গরুর গোশত খাওয়া ফরজ নয়। ঠিক তেমনি হিন্দু ধর্মের আকিদার বিষয়টি যখন আসে, তখন মুসলমানদের জন্য গরুর গোশত খাওয়া ফরজ হয়ে যায়, ঈমানের অঙ্গ হয়ে যায়। তাই হিন্দু তোষণের উদ্দেশ্যে কোন খাবার হোটেল মালিক যদি গরুর গোশত না রাখে, তবে সে কুফরী করেছে। কারণ সে গরুর গোস্তকে ইহানত করেছে শিয়ারুল ইসলাম হওয়ার পরও। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার শিয়ার (নির্দশন) সমূহকে ইহানত বা হারাম করো না ” (সূরা মায়েদা শরীফ : ২) এজন্য তাকে তওবা করতে হবে, নয়ত সে ঈমানহারা হয়ে মারা যাবে।

মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের বক্তাগণ বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় ইহুদী খ্রিস্টানরা মুসলমানদের কথা বিবেচনা করে কখনই হোটেলে হালাল খাবার রাখে না। বাধ্য হয়ে মুসলমানরা নিজেদের জন্য পৃথক হালাল হোটেল খুলে। হিন্দুদের যদি প্রয়োজন হয়, তবে তারা নিজেদের জন্য হিন্দু নাম দিয়ে পৃথক হোটেল খুলুক, কিন্তু মুসলিম হোটেলে হিন্দুদের জন্য মুসলমানদের বঞ্চিত করে তারা গরুর গোশত বন্ধ রাখবে, এমনটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

বাংলাদেশের ব্যবসা করতে হলে খাবার হোটেলগুলোকে বাধ্যতামূলক গরুর গোশত রাখতে হবে। হোটেলে গরুর গোশত থাকা প্রমাণ করবে ওই হোটেল মালিক ভারত কিংবা হিন্দুবাদীদের দালাল নয়। যদি কোন হোটেলে একটিও গরুর গোশতের তরকারী না থাকে, তবে সে হোটেলটি হিন্দুত্ববাদী হোটেল ও ভারতের দালাল বলে প্রমাণিত হবে। সেই হোটেলটিকে সারা দেশব্যাপী বর্জনের ডাক দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘নো-বীফ’ খাবার হোটেল ভারত ও হিন্দুবাদীদের দালাল; বর্জনের দাবিতে সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

নো-বীফ খাবার হোটেল ভারত ও হিন্দুবাদীদের দালাল, তাই এই ধরণের হোটেল বর্জনের দাবি জানিয়ে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ নামক একটি সংগঠন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় পুরান ঢাকার বংশালে নো-বীফ রেস্টুরেন্ট আল-রাজ্জাক হোটেলের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে তারা প্রত্যেকটি খাবার হোটেলে বাধ্যতামূলক গরুর গোশত রাখার দাবী জানান। অন্যথায় এসব হোটেল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ।

সমাবেশে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ শতকরা ৯৮ জন মানুষ হচ্ছেন মুসলমান। মুসলমানরা খাবার হোটেলে গরুর গোশত খেতে চায়। কিন্তু গরুর গোশতের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে কতিপয় খাবার হোটেল গরুর গোশত রাখতে চায় না। এতে মুসলিম ভোক্তারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গরুর গোশত খাওয়া ফরজ নয় তবে দ্বীন ইসলামের শিয়ার বা নিদর্শন। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আকিদার বিষয়টি যখন আসবে, তখন গরুর গোশত খাওয়া ঈমানের অঙ্গ হওয়ার কারণে ফরজ হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা বাকারার ২০৮ নম্বর আয়াতের শানে নুযূল বলা হয়েছে- বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু পূর্বে ইহুদী ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ইহুদীরা উটের গোশত খায় না। সে কারণে আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কখনো উটের গোশত খান নাই। যেহেতু তিনি উটের গোশত কখনো খান নাই সেহেতু ঈমান এনে মুসলমান হওয়ার পর উটের গোশত খাওয়া উনার জন্য বিব্রতকর ছিলো। তিনি একদিন বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমিতো কখনো উটের গোশত খাই নাই, আমাকে উটের গোস্ত না খাওয়ার অনুমতি দিন। এসময় আল্লাহ পাক ওহী নাজিল করলেন- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ কর। শয়তানকে অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” (সূরা বাক্বারা শরীফ : ২০৮) অর্থাৎ যদিও উটের গোশত খাওয়া ফরজ নয়, কিন্তু এ আয়াত শরীফ অনুসারে, ইহুদী ধর্মের বিষয়টি যখন সামনে আসছে, তখন উটের গোশত একজন মুসলমানের জন্য ফরজ হয়ে গেছে, ঈমানের অঙ্গ হয়ে গেছে। তেমনি গরুর গোশত খাওয়া ফরজ নয়। ঠিক তেমনি হিন্দু ধর্মের আকিদার বিষয়টি যখন আসে, তখন মুসলমানদের জন্য গরুর গোশত খাওয়া ফরজ হয়ে যায়, ঈমানের অঙ্গ হয়ে যায়। তাই হিন্দু তোষণের উদ্দেশ্যে কোন খাবার হোটেল মালিক যদি গরুর গোশত না রাখে, তবে সে কুফরী করেছে। কারণ সে গরুর গোস্তকে ইহানত করেছে শিয়ারুল ইসলাম হওয়ার পরও। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার শিয়ার (নির্দশন) সমূহকে ইহানত বা হারাম করো না ” (সূরা মায়েদা শরীফ : ২) এজন্য তাকে তওবা করতে হবে, নয়ত সে ঈমানহারা হয়ে মারা যাবে।

মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের বক্তাগণ বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় ইহুদী খ্রিস্টানরা মুসলমানদের কথা বিবেচনা করে কখনই হোটেলে হালাল খাবার রাখে না। বাধ্য হয়ে মুসলমানরা নিজেদের জন্য পৃথক হালাল হোটেল খুলে। হিন্দুদের যদি প্রয়োজন হয়, তবে তারা নিজেদের জন্য হিন্দু নাম দিয়ে পৃথক হোটেল খুলুক, কিন্তু মুসলিম হোটেলে হিন্দুদের জন্য মুসলমানদের বঞ্চিত করে তারা গরুর গোশত বন্ধ রাখবে, এমনটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

বাংলাদেশের ব্যবসা করতে হলে খাবার হোটেলগুলোকে বাধ্যতামূলক গরুর গোশত রাখতে হবে। হোটেলে গরুর গোশত থাকা প্রমাণ করবে ওই হোটেল মালিক ভারত কিংবা হিন্দুবাদীদের দালাল নয়। যদি কোন হোটেলে একটিও গরুর গোশতের তরকারী না থাকে, তবে সে হোটেলটি হিন্দুত্ববাদী হোটেল ও ভারতের দালাল বলে প্রমাণিত হবে। সেই হোটেলটিকে সারা দেশব্যাপী বর্জনের ডাক দেয়া হবে।