জয়পুরহাটে দুই দিন থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি, শীতে কাঁপছে মানুষ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে জয়পুরহাটেও শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোর মধ্যে এ জেলাতেও গত তিনদিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দিনের বেলায় যেমন তেমন রাতের বেলায় ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গত দুইদিন যেমন তেমন সূর্যের দেখা মিললেও সোমবার একেবারেই দেখা মেলেনি।রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিপাকে পরেছে স্বল্প আয়ের অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো।এ অবস্থায়ও থেমে নেই স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর কর্ম।পরিবারের জন্য এমন কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে ছুটতে হচ্ছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে শীত নিবারণের কাপড় ছাড়াই কোনোমতে বাড়ির বাহিরে এসে তারা নিজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চালক কেরামত আলী বলেন, কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর ঠাণ্ডায় যাত্রীও কম।এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
কথা হয় জয়পুরহাট সদরের পাকার মাথা এলাকার চায়ের দোকানদার আক্কাস আলীর সাথে। তার দোকানের উপরে কয়েকটি টিনের ছাউনি আর চারদিকে খোলা। অনবরত তাকে পানি নাড়াচড়া করতে হচ্ছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে তার শরীর হিম হয়ে ওঠেছে।আক্কাস আলী বলেন, একদিন দোকান বন্ধ থাকলে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। পরিবারের তাগিদে এমন শীতে আমাকে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। যখন কুলাতে পারছিনা তখন খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত কাটাচ্ছি।
অটোভ্যান চালক বালা মিয়া বলেন, হারকাঁপানো এই শীতে সবাই ঘরে রয়েছে, আমাকে পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে। ভ্যান চালিয়ে সারাদিনে যেটুকু পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীত নিবারণের গরম কাপড় কি দিয়ে কিনবো। শুনতে পাচ্ছি অনেকেই কম্বল আবার কেউ জ্যাকেট পেয়েছে। কই আমি সারাদিন রাস্তায় পড়ে আছি, কেউ একটি কম্বল বা জ্যাকেটও দেয়নি আমাকে।
বদলগাছী আবাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার জয়পুরহাটসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন গত শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ এবং ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন ঘন কুয়াশার মধ্যে রোদের দেখা মিললেও ১০ডিসেন্বর সোমবার সকাল থেকেই সূর্য়ের দেখা মেলেনি। সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।