ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষিজমিতে বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণ!

মো: রিপন মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫০:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫০৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ছোট হরিপুর, চানপুর, খালিমপুর ও অন্য ইউনিয়নের ও কিছু গ্রামের, ধোন্দাকোলা, সন্ন্যাসী, নারায়ণপুর, উথলী ও রথবাড়ীসহ একাধিক গ্রামে এক ফসলি জমি দেখিয়ে কৃষি শিল্প পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছে। অথচ সেখানে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদিত হয়।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গ্রামের বাসিন্দারা আগেও একত্রিত হয়ে মানববন্ধন করেছিলেন বিগত সরকারের শাসনামলেও। তবে নতুন করে আবার এই জায়গায় বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। যা কখনোই স্থানীয় কৃষকরা গ্রহণ করতে নারাজ, তাদের দাবি হাজার হাজার কৃষকের রুটি রোজগারের ফসলের জমি কখনোই নষ্ট হতে দেবে না, যেখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়, সেখানে কি কারনে এই শিল্প পার্ক গঠন করা দরকার তা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না। সেই সাথে তাদের দাবি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ কৃষকের ফসলের জমি বিসিক শিল্প পার্ক তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে।

বগুড়া জেলার ফসলি জমির মধ্য এ অঞ্চলের জমিগুলো সর্বোচ্চ উর্বর। এখানে প্রচুর পরিমাণে সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন হয়। কৃষকদের দাবি তাদের ফসলের জমি রক্ষার্থে তারা তাদের জীবন দিবে কিন্তু তাদের জমি কাউকে ছেড়ে দেবে না এক্ষেত্রে যদি বাঁধা আসে তার মোকাবেলা ও তারা করবে ।

কৃষকদের দাবি, এই সমস্যার সমাধান দ্রুত না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। গ্রামবাসীর এ অভিযোগ বাস্তবিক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা তুলে ধরে। কৃষিজমি দখল বা যথাযথ ব্যবহার না হওয়া গ্রামের কৃষিনির্ভর পরিবারগুলোর জীবিকাকে সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ গ্রামীণ পরিবার তাদের জীবিকা এবং পরিবার পরিচালনার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল।

এ অবস্থায় জমি দখল, অনুন্নত ব্যবস্থাপনা, কিংবা শিল্পায়নের কারণে জমি হারানো কৃষকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু স্বার্থন্বেষী ও অর্থলিপ সু ব্যক্তিবর্গ এ কাজ বিষয়ে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সাধারণ কৃষকগণ তাদের জমি রক্ষার স্বার্থে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাই। সেই সরকারের সাহায্য কামনা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কৃষিজমিতে বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণ!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫০:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ছোট হরিপুর, চানপুর, খালিমপুর ও অন্য ইউনিয়নের ও কিছু গ্রামের, ধোন্দাকোলা, সন্ন্যাসী, নারায়ণপুর, উথলী ও রথবাড়ীসহ একাধিক গ্রামে এক ফসলি জমি দেখিয়ে কৃষি শিল্প পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছে। অথচ সেখানে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদিত হয়।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গ্রামের বাসিন্দারা আগেও একত্রিত হয়ে মানববন্ধন করেছিলেন বিগত সরকারের শাসনামলেও। তবে নতুন করে আবার এই জায়গায় বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। যা কখনোই স্থানীয় কৃষকরা গ্রহণ করতে নারাজ, তাদের দাবি হাজার হাজার কৃষকের রুটি রোজগারের ফসলের জমি কখনোই নষ্ট হতে দেবে না, যেখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়, সেখানে কি কারনে এই শিল্প পার্ক গঠন করা দরকার তা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না। সেই সাথে তাদের দাবি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ কৃষকের ফসলের জমি বিসিক শিল্প পার্ক তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে।

বগুড়া জেলার ফসলি জমির মধ্য এ অঞ্চলের জমিগুলো সর্বোচ্চ উর্বর। এখানে প্রচুর পরিমাণে সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন হয়। কৃষকদের দাবি তাদের ফসলের জমি রক্ষার্থে তারা তাদের জীবন দিবে কিন্তু তাদের জমি কাউকে ছেড়ে দেবে না এক্ষেত্রে যদি বাঁধা আসে তার মোকাবেলা ও তারা করবে ।

কৃষকদের দাবি, এই সমস্যার সমাধান দ্রুত না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। গ্রামবাসীর এ অভিযোগ বাস্তবিক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা তুলে ধরে। কৃষিজমি দখল বা যথাযথ ব্যবহার না হওয়া গ্রামের কৃষিনির্ভর পরিবারগুলোর জীবিকাকে সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ গ্রামীণ পরিবার তাদের জীবিকা এবং পরিবার পরিচালনার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল।

এ অবস্থায় জমি দখল, অনুন্নত ব্যবস্থাপনা, কিংবা শিল্পায়নের কারণে জমি হারানো কৃষকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু স্বার্থন্বেষী ও অর্থলিপ সু ব্যক্তিবর্গ এ কাজ বিষয়ে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সাধারণ কৃষকগণ তাদের জমি রক্ষার স্বার্থে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাই। সেই সরকারের সাহায্য কামনা করছে।