ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার করতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নোটিশ পাঠান তিনি।

নোটিশপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশে বলা হয়েছে, বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করার সাহস পেয়েছে। জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে চুরি করেছে এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। তথাকথিত গৃহপালিত দল জাতীয় পার্টি স্বৈরাচারের সুরে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরও নিতে হবে।

নোটিশে জাতীয় পার্টিকে জাতীয় বেঈমান উল্লেখ করে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

নোটিশে আইনজীবী সবুজ খান বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপিরা গ্রেপ্তার হলেও জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-এমপিরা আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদের গ্রেপ্তার না করে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হচ্ছে। আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের আটক না করায় জনমনে প্রশ্ন প্রবল হয়ে উঠছে।

তিনি আরও বলেন, জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত। জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহীদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে নোটিশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার করতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নোটিশ পাঠান তিনি।

নোটিশপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশে বলা হয়েছে, বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করার সাহস পেয়েছে। জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে চুরি করেছে এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। তথাকথিত গৃহপালিত দল জাতীয় পার্টি স্বৈরাচারের সুরে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরও নিতে হবে।

নোটিশে জাতীয় পার্টিকে জাতীয় বেঈমান উল্লেখ করে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

নোটিশে আইনজীবী সবুজ খান বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপিরা গ্রেপ্তার হলেও জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-এমপিরা আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদের গ্রেপ্তার না করে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হচ্ছে। আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের আটক না করায় জনমনে প্রশ্ন প্রবল হয়ে উঠছে।

তিনি আরও বলেন, জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত। জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহীদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানাই।