মাধবপুরে নদীর তীর ও কৃষি জমির মাটি কেটে পাচার করছে যুবলীগ নেতা মনির
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জের মাধবপুরে রাতে আধাঁরে অবৈধভাবে সোনাই নদীর পাড় ও কৃষি জমি কেটে উত্তোলন করা মাটি বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে স্থানীয় একটি চক্র।
স্থানীয় সূত্রের তথ্য মতে, এ মাটির অধিকাংশ যাচ্ছে স্থানীয় ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায়। আদাঐর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও তাঁর অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এ অবৈধ মাটির ব্যবসা।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে সোনাই নদী খনন করা হয়। খননকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মাটির ধস ও ভাঙন প্রতিরক্ষায় পাড় বাঁধানো হয়। সরকারি
সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পের তদারকির অভাবে নদীপাড়ের মাটি খুবলে খাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। অত্যন্ত কৌশলে চক্রের মূল হোতারা এ নদীপাড়ের মাটি নিয়ে বাইরে বিক্রি করছে।
জানা যায়, তিন বছর আগে নদী খনন ও পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করা হয়। স্থানীয় কৃষকরা এতে উপকৃত হয়েছিলেন। আগে যেখানে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকের ফসলি জমি এবং স্থানীয়দের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যেত, পাড় বাঁধাইয়ের পর সে সমস্যার সমাধান আসে। আওয়ামী সরকারের আমলে রাত দিন সরকারি জায়গা থেকে মাটি পাচার করে কোটি কোটি টাকা কামাই করছে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের ভাই, যুবলীগ নেতা নেতা মনিরুল ইসলাম মনির। তবে হঠাৎ করেই ৫ আগস্টের পর পুনরায় সোনাই নদীর পাড়ে খননযন্ত্র বসিয়ে সরাসরি সেখান থেকে মাটি কেটে পাচার শুরু হয়। দিনে মাটি কেটে স্তূপ করে রাখার পর রাতের আঁধারে ট্রাক্টর ও ছোট ট্রাকে করে সেই মাটি বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয় বিক্রির জন্য। এভাবে মাটি কেটে নেওয়া হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে আবারও সংকটে পড়বে এ এলাকার কৃষি জমি।
নদীর পাড় থেকে মাটি পরিবহনের কাজে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই মনিরের নির্দেশে সেখান থেকে মাটি পরিবহন করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, আস্ত মাটি কাটার ভেকু মেশিন বসিয়ে সেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। খালি চোখে দেখতে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। সেটা কীভাবে প্রশাসনের নজরে আসে না তা বোঝা দায়।
মাধবপুর উপজেলা যুবলীগ নেতা মো: মনিরুল ইসলাম মনিরকে মাটি পাচারের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী কাল বিকালে মাধবপুর বাজারে এসে যোগাযোগ করব।
অবৈধভাবে মাটি পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাশেম বলেন, লোকেশন দেন লোক পাঠাচ্ছি।