ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে শিক্ষকের মারপিটে শিশু শিক্ষার্থী আহত

আবু-হানিফ,বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেয়ায় শিক্ষক সোহাগ মোল্লার বেধড়ক মারপিটে আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে ওই শিক্ষার্থী শরীরচর্চা’র নির্দেশনা লক্ষ্য না করায় প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতের শিকার হয়। আহত শিক্ষার্থী উপজেলার আড়–য়াবর্নী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে। আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স স্থানীয় এক চিকিৎসকের তত্ত¡াবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলা সদরে অবস্থিত সানসাইন কিডস কেয়ার কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আব্দুল্লাহর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে আহত শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মো. শহীদ শেখ জানান, আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স সানসাইন কিডস কেয়ারের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। আনুমানিক দেড় মাস পূর্বে একদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারনে সানসাইন কিডস কেয়ারের পরিচালক সোহাগ মোল্লা তাকে বেত্রাঘাত করেন। এ বিষয়ে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তখন আব্দুল্লাহর পরিবার ওই শিক্ষককে কোন কিছু বলেননি। গত ২ ডিসেম্বর শরীরচর্চা করার সময় আব্দুল্লাহ শিক্ষক সোহাগের নির্দেশনা শুনতে পায়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সানসাইন কিডস কেয়ারের পরিচালক সোহাগ মোল্লা হ্যান্ডমাইক দিয়ে তাকে আঘাত করে। এ সময় সে ভয়ে দৌঁড় দিলে সোহাগ মোল্লা তার পিছু পিছু পিটাতে থাকে।

ওই শিক্ষার্থী ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের কনুইয়ে মারাত্মক চোট লাগে। খবর শুনে আব্দুল্লার ফুফাতো বোন দৌড়ে গিয়ে আব্দুল্লাহকে জড়িয়ে ধরে শিক্ষক সোহাগের হাত থেকে রক্ষা করেন। বর্তমানে আব্দুল্লাহ ব্যাথায় হাত দিয়ে কোন কিছুই ধরতে বা কিছুই করতে পারছে না। আমি ছেলেকে চিকিৎসা জন্য নিলে ডাক্তার তাকে এক্স-রে করে হাতের ব্যান্ডেজ দিয়ে দিয়েছে। শিশুদের সাথে ধরনের অমানবিক আচারণ আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে এ ধরনের আচরনের বিচার দাবি করছি। শুধু আমার ছেলেই নয় সে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে একই আচারণ করেন। তার ভয়ে কেহই মুখ খুলতে সাহস পায় না।সানসাইন কিডস কেয়ার কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক সোহাগ মোল্লা মারপিটের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা খেলধুলা করি। হয়তো তখন কোন আঘাত লাগতে পারে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগকারী ও আহত শিক্ষার্থী আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পালের অফিসিয়াল মুঠোফোনে ফোন একধিকবার দিলে তিনি কলরিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে শিক্ষকের মারপিটে শিশু শিক্ষার্থী আহত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেয়ায় শিক্ষক সোহাগ মোল্লার বেধড়ক মারপিটে আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে ওই শিক্ষার্থী শরীরচর্চা’র নির্দেশনা লক্ষ্য না করায় প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতের শিকার হয়। আহত শিক্ষার্থী উপজেলার আড়–য়াবর্নী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে। আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স স্থানীয় এক চিকিৎসকের তত্ত¡াবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলা সদরে অবস্থিত সানসাইন কিডস কেয়ার কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আব্দুল্লাহর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে আহত শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মো. শহীদ শেখ জানান, আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স সানসাইন কিডস কেয়ারের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। আনুমানিক দেড় মাস পূর্বে একদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারনে সানসাইন কিডস কেয়ারের পরিচালক সোহাগ মোল্লা তাকে বেত্রাঘাত করেন। এ বিষয়ে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তখন আব্দুল্লাহর পরিবার ওই শিক্ষককে কোন কিছু বলেননি। গত ২ ডিসেম্বর শরীরচর্চা করার সময় আব্দুল্লাহ শিক্ষক সোহাগের নির্দেশনা শুনতে পায়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সানসাইন কিডস কেয়ারের পরিচালক সোহাগ মোল্লা হ্যান্ডমাইক দিয়ে তাকে আঘাত করে। এ সময় সে ভয়ে দৌঁড় দিলে সোহাগ মোল্লা তার পিছু পিছু পিটাতে থাকে।

ওই শিক্ষার্থী ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের কনুইয়ে মারাত্মক চোট লাগে। খবর শুনে আব্দুল্লার ফুফাতো বোন দৌড়ে গিয়ে আব্দুল্লাহকে জড়িয়ে ধরে শিক্ষক সোহাগের হাত থেকে রক্ষা করেন। বর্তমানে আব্দুল্লাহ ব্যাথায় হাত দিয়ে কোন কিছুই ধরতে বা কিছুই করতে পারছে না। আমি ছেলেকে চিকিৎসা জন্য নিলে ডাক্তার তাকে এক্স-রে করে হাতের ব্যান্ডেজ দিয়ে দিয়েছে। শিশুদের সাথে ধরনের অমানবিক আচারণ আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে এ ধরনের আচরনের বিচার দাবি করছি। শুধু আমার ছেলেই নয় সে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে একই আচারণ করেন। তার ভয়ে কেহই মুখ খুলতে সাহস পায় না।সানসাইন কিডস কেয়ার কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক সোহাগ মোল্লা মারপিটের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা খেলধুলা করি। হয়তো তখন কোন আঘাত লাগতে পারে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগকারী ও আহত শিক্ষার্থী আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পালের অফিসিয়াল মুঠোফোনে ফোন একধিকবার দিলে তিনি কলরিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।