ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশী উপহাইকমিশনে হিন্দুত্ববাদী উগ্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হামলার মাধ্যমে সার্বভৌমত্বে আঘাত ও পতাকা অবমাননা এবং সিলেটসহ বিভিন্ন সীমান্তে হিন্দুত্ববাদী গৌষ্ঠীর চালানো আগ্রাসনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে জমায়েত হয়ে কয়েকটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মোদির দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘তুমি কে আমি কে? বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘তুমি কে আমি কে? সাইফুল সাইফুল’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দূতাবাসে হামলা কেন? মোদি তুই জবাব দে’, ‘ইসকনের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকৃত সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ, আধিপত্যবাদ বিরোধী মঞ্চ, জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল। আমাদের এই অভ্যুত্থান ছিল ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। যারা ২৪’কে ৭১ এর বিরুদ্ধে দাড় করাতে চায় তারা ভারতের দালাল। শেখ হাসিনার মত শক্তিশালী স্বৈরশাসককে সরাইতে ৩৬ দিন সময় লাগছে। কেউ আধিপত্য দেখাতে আসলে তাদের অবস্থা ভয়াবহ হবে।

জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, আগরতলায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্নে আমরা আপোসহীন, ঐক্যবদ্ধ৷ যত আগ্রাসী ঔপনিবেশিক শক্তি এদেশে এসেছে তাদের দাতভাঙ্গা জবাব আমরা দিয়েছি৷ ভারতের এজেন্ট হিসেবে আওয়ামীলীগ গুম-খুন করে আসছিল। আমরা ভারতকে বলে দিতে চাই তিস্তার পানির হিস্যা বুঝিয়ে দাও, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ক্ষমা চাও। এক বিন্দু রক্ত থাকতেও আমরা তোমাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবতায়ন করতে দেবো না।

গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে দ্বিপাক্ষিক সমতার ভিত্তিতে। দল- মত, ধর্মীয় মতাদর্শ ভুলে এক হতে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য লড়াই করে যাবো। ২৪’র পরাজিত শক্তিরা এক দিনের জন্যও ষড়যন্ত্র করা থেকে বসে নেই৷ তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র চালাতে বিভিন্নভাবে বাধাদান করছে৷ আমি বলে দিতে চাই, তোমাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমরা বিশ কোটি জনগণ প্রস্তুত আছি।

উল্লেখ্য, সোমবার আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী একটি সমিতির সদস্যরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভারতে বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশী উপহাইকমিশনে হিন্দুত্ববাদী উগ্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হামলার মাধ্যমে সার্বভৌমত্বে আঘাত ও পতাকা অবমাননা এবং সিলেটসহ বিভিন্ন সীমান্তে হিন্দুত্ববাদী গৌষ্ঠীর চালানো আগ্রাসনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে জমায়েত হয়ে কয়েকটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মোদির দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘তুমি কে আমি কে? বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘তুমি কে আমি কে? সাইফুল সাইফুল’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দূতাবাসে হামলা কেন? মোদি তুই জবাব দে’, ‘ইসকনের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকৃত সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ, আধিপত্যবাদ বিরোধী মঞ্চ, জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল। আমাদের এই অভ্যুত্থান ছিল ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। যারা ২৪’কে ৭১ এর বিরুদ্ধে দাড় করাতে চায় তারা ভারতের দালাল। শেখ হাসিনার মত শক্তিশালী স্বৈরশাসককে সরাইতে ৩৬ দিন সময় লাগছে। কেউ আধিপত্য দেখাতে আসলে তাদের অবস্থা ভয়াবহ হবে।

জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, আগরতলায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্নে আমরা আপোসহীন, ঐক্যবদ্ধ৷ যত আগ্রাসী ঔপনিবেশিক শক্তি এদেশে এসেছে তাদের দাতভাঙ্গা জবাব আমরা দিয়েছি৷ ভারতের এজেন্ট হিসেবে আওয়ামীলীগ গুম-খুন করে আসছিল। আমরা ভারতকে বলে দিতে চাই তিস্তার পানির হিস্যা বুঝিয়ে দাও, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ক্ষমা চাও। এক বিন্দু রক্ত থাকতেও আমরা তোমাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবতায়ন করতে দেবো না।

গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে দ্বিপাক্ষিক সমতার ভিত্তিতে। দল- মত, ধর্মীয় মতাদর্শ ভুলে এক হতে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য লড়াই করে যাবো। ২৪’র পরাজিত শক্তিরা এক দিনের জন্যও ষড়যন্ত্র করা থেকে বসে নেই৷ তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র চালাতে বিভিন্নভাবে বাধাদান করছে৷ আমি বলে দিতে চাই, তোমাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমরা বিশ কোটি জনগণ প্রস্তুত আছি।

উল্লেখ্য, সোমবার আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী একটি সমিতির সদস্যরা।