শীত এলেও বরিশালে ডেঙ্গুর প্রভাব কমেনি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
বরিশালের দরজায় আরো দিন দশেক আগে থেকে শীত কড়া নাড়তে শুরু করলেও মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর বিস্তৃতি এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় যোগ হচ্ছে অগনিত নাম।
নভেম্বরের ৩০ দিনে বরিশালের সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত আরো ২ হাজার ৫৪১ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। মৃত্যুর এ সংখ্যাটা অক্টোবরের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশী। এমনকি নভেম্বরে সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগী সংখ্যাটাও ছিল আগের মাসের চেয়ে ১০ জন বেশী।
ইতোমধ্যে বরিশাল অঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৮ হাজারে পৌঁচেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ৫৫। নভেম্বরের শেষ দিনেও বরিশাল অঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে ৯৮ জন সহ পৌনে ৩শরও বেশী ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তবে সাধারন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে খুব খারাপ অবস্থা না হলে কোন ডেঙ্গু রোগীই সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। ফলে সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়া রোগীর অন্তত ৩গুন রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের তত্বাবধানে ঘরেই চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। অনেকেই মনে করেন বরিশালে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৫ হাজার অতিক্রম করেছে।
এবার অক্টোবর পেরিয়ে পুরো নভেম্বর জুড়েই ডেঙ্গুর দাপট অব্যাহত থাকলেও বিগত বছরগুলোতে সেপ্টেম্বরের শেষভাগেই বরিশাল অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার বিলম্বিত বর্ষণে ভর করে এডিস মশার দাপটে গোটা বরিশালে প্রাণঘাতি রোগ ডেঙ্গুর সংক্রমন সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যেও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশন সহ বিভিন্ন পৌরসভা সহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের তাগিদ দেবার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে সফল হতে না পাড়ায় এবার বর্ষা,শরৎ ও হেমন্ত পেরিয়ে শীতেও ডেঙ্গু উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। এমনকি এবারই প্রথম শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা বেশী বলেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর সরকারী হাসপাতালগুলোতে মারা যাওয়া ৫৫ জনের অধিকাংশ রোগীই গ্রামঞ্চলের বলেই জানা গেছে।