ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মজুদ শেষ, বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৪১৪ নম্বর ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাময়িক কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে তাপবিদু্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের ১নং ইউনিটটি থেকে বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বন্ধ হওয়া ১৪১৪ ফেইজ থেকে ৪ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ১৩০৫ নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে কয়লা উত্তোলনের প্রস্তুতিমূলক কারিগরি কাজ শুরু হয়েছে। নতুন এই ফেইজ থেকে ৩ লাখ ৬০ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। ২০২৫ সালের আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে নতুন এই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের সম্ভবনা রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, চলতি বছরের গত ৭ আগস্ট থেকে ১৪১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। শনিবার ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রয়োজনীয় ইক্যুপমেন্ট প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষে নতুন ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে আনুমানিক প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে পাশ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুদ রয়েছে। গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) তাপবিদু্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের ১নং ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। কয়লার প্রয়োজন পড়তো প্রতিদিন ৭শ’ মেট্রিক টন।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩য় ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতদিনি গড়ে ১ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ছে। মজুদকৃত কয়লা দিয়ে প্রায় ৬ মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফেইস পরিবর্তন জনিত কারণে দুই মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে ১নং ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মজুদ শেষ, বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৪১৪ নম্বর ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাময়িক কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে তাপবিদু্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের ১নং ইউনিটটি থেকে বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বন্ধ হওয়া ১৪১৪ ফেইজ থেকে ৪ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ১৩০৫ নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে কয়লা উত্তোলনের প্রস্তুতিমূলক কারিগরি কাজ শুরু হয়েছে। নতুন এই ফেইজ থেকে ৩ লাখ ৬০ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। ২০২৫ সালের আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে নতুন এই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের সম্ভবনা রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, চলতি বছরের গত ৭ আগস্ট থেকে ১৪১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। শনিবার ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রয়োজনীয় ইক্যুপমেন্ট প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষে নতুন ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে আনুমানিক প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে পাশ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুদ রয়েছে। গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) তাপবিদু্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের ১নং ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। কয়লার প্রয়োজন পড়তো প্রতিদিন ৭শ’ মেট্রিক টন।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩য় ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতদিনি গড়ে ১ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ছে। মজুদকৃত কয়লা দিয়ে প্রায় ৬ মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফেইস পরিবর্তন জনিত কারণে দুই মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে ১নং ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে।