রাত হলেই বাড়ে শীত
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। উত্তর পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসের সাথে জেলার তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারি কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, শনিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল থেকেই সূর্য আলো ছড়াচ্ছে। সূর্য আলো ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। শীত উপেক্ষা করেই দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে।
এদিকে, পর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভোরে সমাগম হয়েছে শতশত পর্যটক। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সঙ্গে শীত উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পৌষ মাস না পড়তেই ঠান্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা অনুভূত। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে।
পর্যটকরা জানিয়েছেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা দারুণ উপভোগ করছি। একদিকে বরফের পাহাড়, একই সঙ্গে শীত দুটোই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে।
এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।