ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গ্রাহকদের মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকের জমাকৃত টাকা হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের ডেকে নিয়ে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এ ঘটনায় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এর শাস্তি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্সের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে ভুক্তভোগী রানী খানম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ভুক্তভোগী গ্রাহক মরিয়ম বেগম, সেলিনা বেগম, ফাতেমা বেগম, রেক্সোনা বেগম, সাবিনা বেগম, চঞ্চলা রানী, গীতা রানী উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী রানী খানম জানান, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এর মাধ্যমে কোম্পানিতে আমরা ইন্সুরেন্স করি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আমাদের প্রাপ্য পাওনা না পেলে আমরা বিষয়টা মিজানুর রহমানকে জানাই। আমাদের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ৩০ অক্টোবর সে আমাদের কাগজপত্র নিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার পাটর পাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে যেতে বলে। আমি সহ সাতজন গ্রাহক ও আমার স্বামী ও আমার ভাগনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মিজানুর রহমান আমাদের হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো সে আমাদের সাথে বাকবিতণ্ডে জড়ায়।

এ সময় মিজানুর রহমানের সাথে তার শালা পরিচয় এক সাদা পোশাকের ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ দাবি করে। বাগবিতণ্ডের একপর্যায়ে তারা আমাদের মহিলাদের গায়ে হাত তোলে। আমরা দ্রুত নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বাগেরহাট সদর থানার ওসির শরণাপন্ন হই এবং মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ জানাই। তৎক্ষণাৎ সেখানে মিজানুর রহমান ও তার বন্ধু এডভোকেট সাজ্জাদ উপস্থিত হয়। তারা উপর মহলের সুপারিশের মাধ্যমে অপরণ, চাঁদাবাজি ও চাঁদ আদায়ের মামলায় আমাদের অ্যারেস্ট করায়। এই ঘটনায় মিথ্যা মামলায় আমরা দীর্ঘদিন জেলা খেটেছি।

আমার স্বামী এখনো বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে আছে। এ ঘটনায় একাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক বলেন, আমরা আমাদের পাওনা বুঝে পাই নেই। তাছাড়াও নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। আমরা যেন সঠিক পাওনা খুঁজে পাই ও মিথ্যা মামলার প্রাপ্য বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলো তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গ্রাহকদের মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকের জমাকৃত টাকা হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের ডেকে নিয়ে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এ ঘটনায় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এর শাস্তি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্সের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে ভুক্তভোগী রানী খানম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ভুক্তভোগী গ্রাহক মরিয়ম বেগম, সেলিনা বেগম, ফাতেমা বেগম, রেক্সোনা বেগম, সাবিনা বেগম, চঞ্চলা রানী, গীতা রানী উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী রানী খানম জানান, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এর মাধ্যমে কোম্পানিতে আমরা ইন্সুরেন্স করি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আমাদের প্রাপ্য পাওনা না পেলে আমরা বিষয়টা মিজানুর রহমানকে জানাই। আমাদের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ৩০ অক্টোবর সে আমাদের কাগজপত্র নিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার পাটর পাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে যেতে বলে। আমি সহ সাতজন গ্রাহক ও আমার স্বামী ও আমার ভাগনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মিজানুর রহমান আমাদের হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো সে আমাদের সাথে বাকবিতণ্ডে জড়ায়।

এ সময় মিজানুর রহমানের সাথে তার শালা পরিচয় এক সাদা পোশাকের ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ দাবি করে। বাগবিতণ্ডের একপর্যায়ে তারা আমাদের মহিলাদের গায়ে হাত তোলে। আমরা দ্রুত নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বাগেরহাট সদর থানার ওসির শরণাপন্ন হই এবং মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ জানাই। তৎক্ষণাৎ সেখানে মিজানুর রহমান ও তার বন্ধু এডভোকেট সাজ্জাদ উপস্থিত হয়। তারা উপর মহলের সুপারিশের মাধ্যমে অপরণ, চাঁদাবাজি ও চাঁদ আদায়ের মামলায় আমাদের অ্যারেস্ট করায়। এই ঘটনায় মিথ্যা মামলায় আমরা দীর্ঘদিন জেলা খেটেছি।

আমার স্বামী এখনো বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে আছে। এ ঘটনায় একাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক বলেন, আমরা আমাদের পাওনা বুঝে পাই নেই। তাছাড়াও নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। আমরা যেন সঠিক পাওনা খুঁজে পাই ও মিথ্যা মামলার প্রাপ্য বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলো তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।