ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের মরদেহ বিছানায়, স্বামী ঝুলছিল ফ্যানে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের রানী বাজার শাহী মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে ছেলে-মেয়েসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলো- নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আনারবাগ এলাকার গৌরাঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাসে ছেলে জনি চন্দ্র বিশ্বাস (৩৫), তার স্ত্রী নিপা মল্লিক (৩০), ছেলে ধ্রæব চন্দ্র বিশ্বাস (৭), মেয়ে কথা চন্দ্র বিশ্বাস (৫)।

জানা যায়, ভৈরব শহরের বাগানবাড়ির মিজান মিয়ার ওয়ার্কশপে কাজ করতেন জনি চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সোমবার  পৈতৃক ভিটা নরসিংদীর রায়পুরার আনারবাগে ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান। সেখান থেকে রাতে ফেরেন। এর পর তাদের আরও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার জনির ওয়ার্কশপের এক কর্মচারী তার খোঁজে এসে জানতে পারেন, তাদের বাড়ির দরজা সকাল থেকে বন্ধ। পরে তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। এ সময় ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ বিছানায় দেখতে পান। আর জনিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। পরে খবর পেয়ে ভৈরব থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত জনি চন্দ্র বিশ্বাসের মা শিখা রানী বিশ্বাস বলেন, সোমবার আমাদের বাড়িতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে রাতে ফিরে আসে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফোনে খবর পেলাম আমার ছেলে মারা গেছে। এখন এসে দেখি আমার ছেলেসহ পুরো পরিবারই শেষ হয়ে গেছে।  

ভবনের মালিক শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, তিন মাস হলো আমাদের ভবনের সাত তলার একটি ফ্ল্যাটে বাসা ভাড়ায় নেন জনি। আজ বিকেলে ভবনের এক ভাড়াটিয়া ফোনে জানান তাদের রুমের দরজা খুলছে না। পরে লোকজন মিলে দরজা ভেঙে ভেতরে মরদেহ দেখতে পাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মো.শাহিন মিয়া জানান, শহরের রানী বাজার এলাকার সাত তলা ভবনের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে স্বামী জনি বিশ্বাস তার দুই সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের মরদেহ বিছানায়, স্বামী ঝুলছিল ফ্যানে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের রানী বাজার শাহী মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে ছেলে-মেয়েসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলো- নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আনারবাগ এলাকার গৌরাঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাসে ছেলে জনি চন্দ্র বিশ্বাস (৩৫), তার স্ত্রী নিপা মল্লিক (৩০), ছেলে ধ্রæব চন্দ্র বিশ্বাস (৭), মেয়ে কথা চন্দ্র বিশ্বাস (৫)।

জানা যায়, ভৈরব শহরের বাগানবাড়ির মিজান মিয়ার ওয়ার্কশপে কাজ করতেন জনি চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সোমবার  পৈতৃক ভিটা নরসিংদীর রায়পুরার আনারবাগে ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান। সেখান থেকে রাতে ফেরেন। এর পর তাদের আরও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার জনির ওয়ার্কশপের এক কর্মচারী তার খোঁজে এসে জানতে পারেন, তাদের বাড়ির দরজা সকাল থেকে বন্ধ। পরে তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। এ সময় ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ বিছানায় দেখতে পান। আর জনিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। পরে খবর পেয়ে ভৈরব থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত জনি চন্দ্র বিশ্বাসের মা শিখা রানী বিশ্বাস বলেন, সোমবার আমাদের বাড়িতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে রাতে ফিরে আসে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফোনে খবর পেলাম আমার ছেলে মারা গেছে। এখন এসে দেখি আমার ছেলেসহ পুরো পরিবারই শেষ হয়ে গেছে।  

ভবনের মালিক শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, তিন মাস হলো আমাদের ভবনের সাত তলার একটি ফ্ল্যাটে বাসা ভাড়ায় নেন জনি। আজ বিকেলে ভবনের এক ভাড়াটিয়া ফোনে জানান তাদের রুমের দরজা খুলছে না। পরে লোকজন মিলে দরজা ভেঙে ভেতরে মরদেহ দেখতে পাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মো.শাহিন মিয়া জানান, শহরের রানী বাজার এলাকার সাত তলা ভবনের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে স্বামী জনি বিশ্বাস তার দুই সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।