বিয়ের আগেই শর্ত দিয়েছিলেন এ আর রহমান
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
২৯ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন এ আর রহমান। কিন্তু তার এমন সিদ্ধান্তে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। তবে রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার পর সামনে এল রহমান ও সায়রার বিয়ের নেপথ্যের কিছু তথ্য। খবর অনুযায়ী, বেশ কিছু শর্তেই সায়রার সাথে বিয়ে করেছিলেন রহমান।
তখন সুরকার হিসেবে সবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন এ আর রহমান। ‘রোজা’, ‘বম্বে’-র সুর নিয়ে ছিলেন ব্যস্ত। ঠিক এমন সময়ই মায়ের পছন্দ করা সায়রাকে বিয়ে করেন তিনি। তবে যেহেতু মিউজিকই তার ধ্যান, জ্ঞান, তাই বিয়ে ব্যাপারটাকে একপাশে সরিয়ে রেখেছিলেন রহমান। আর তা সায়রাকে স্পষ্টও করেছিলেন সুরকার।
রহমান চেয়েছিলেন, তার স্ত্রী হবেন সুন্দরী, শিক্ষিত এবং দয়ালু। শুধু তাই নয়, রহমান স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, এমন মেয়ে তিনি চান, যিনি শপিং, ট্যুরে যাওয়ার জন্য বায়না করবেন না। কারণ, এতে তার সঙ্গীতচর্চায় বাধা পড়বে। সায়রা এসব শর্ত মেনে নেন এবং সেই কারণেই ২৯টি বছর একসাথে থেকেছেন। তবে এবার প্রশ্ন হল, কী হঠাৎ ঘটল, যে কারণে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত।
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানু বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। দেখাশোনা করেই নাকি বিয়ে দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসাথে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহমান ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।
বিয়ের এতো বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা? এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর। কিন্তু তা হলো না।
বিবৃতিতে লেখা, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছে যাব এই আশা ছিলো। কিন্তু নিয়তির যে অন্য ভাবনা ছিল আর তা আগে থেকে আঁচ করা যায়নি। ভাঙা মনের ভারে ঈশ্বরের আসনও তো টলে যায়। তবুও এই ছিন্নভিন্ন সম্পর্কে আমরা মানে খুঁজতে থাকি। যদিও এই ভাঙা টুকরো গুলো আবার আগের মতো জোড়া লাগানো সম্ভব নয়।