ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘রাজনৈতিক প্রকৌশলী তারেক রহমান, শুভ জন্মদিন’

কাদের গনি চৌধুরী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসময়ের সবচেয়ে যোগ্য, মেধাবী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক তারেক রহমান। এদেশের কোটি তরুণ ও যুবসমাজের কাছে তিনি আইডল। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের চিন্তায় তিনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতার ঘোষক ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতিতে তারেক রহমানের নামটিই এখন উচ্চারিত হচ্ছে সগৌরবে। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্যারিশম্যাটিক ভবিষ্যত নেতাদের সাথে বাংলাদেশের তারেক রহমানের নামও আলোচিত হচ্ছে। তাঁর তৃণমূলের রাজনীতি নিয়ে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গবেষণা হচ্ছে।

ক্যামব্রিজের রিজেন্ট স্ট্রিটে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি আর্মস-এর চার্চিল অডিটোরিয়ামে তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তা ও ভাবনা নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা হয় তারেক রহমানের রাজনীতি নিয়ে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ সময়ে বহুল আলোচিত ও সমাদৃত তারেক রহমানকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন তারা। এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন। তিনি পরনির্ভরশীলতার জাল ছিন্ন করে দেশের মানুষকে উন্নত জাতির মর্যাদায় উন্নীত করতে চান।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সেমিনারে বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের সাবেক ডিরেক্টর ফ্রান্সিস ডেভিস, ইয়ং ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ডেভিড এগলার ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য জন ক্লেটন।

ফ্রান্সিস ডেভিস বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন মানুষের মাঝে, বিশেষ করে বাংলাদেশীদের মনে একটি স্বপ্নের বীজ বুনতে পারে। একটি উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন তারেক। তার স্বপ্ন মানুষের উন্নয়ন ও দেশের সমৃদ্ধি নিয়ে। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছেন। এটা খুব সুন্দর উদ্যোগ।

ডেভিড এডগার বলেন, তারেক রহমান ডিজিটাল বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক-প্রকৌশলী। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে তার নেতৃত্ব প্রয়োজন।

জন ক্লেটন তারেক রহমানকে একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে ভাষা বুঝতে পারেন। একটি দেশের উন্নয়নের জন্যে রাজনীতিবিদদের এই গুণ থাকা খুব বেশি প্রয়োজন। তারেক রহমানকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তারেক রহমানের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা আজ অনেকের কাছে রীতিমত ঈর্ষনীয়। তিনি মাটি ও মানুষের নেতা-স্বপ্ন দেখেন একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশের। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও জাতিপ্রেমী ডায়নামিক লিডার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশের মানুষের এক প্রোজ্জ্বল নেতা।

তারেক রহমান তার মেধা, প্রজ্ঞা, কর্মবীরত্ব, ত্যাগ, ভিশনারী বক্তব্য, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগাতে পেরেছেন। যা এর আগে একমাত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই পেরেছিলেন। তারেক রহমান প্রচলিত রাজনীতি বদলাতে চেয়েছিলেন। রাজধানীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ড্রয়িংরুমের রাজনীতিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তৃণমূলে। তিনি ১৮ কোটি মানুষকে উন্নয়নের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিলেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই তিনি রাজধানী ছেড়ে ছুটে গেছেন তৃণমূলে। মাটি ও মানুষকে জাগিয়ে বাংলাদেশকে আপন সম্পদে স্বয়ম্ভর করা, আধুনিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো, প্রান্তিক মানুষকে সামনে রেখে রাজনীতিকে বিকাশিত করা, গণতন্ত্রের আত্মাকে সজীব-সচল করা — সবই তার ঘোষিত স্বপ্ন যা শহীদ জিয়ার স্বপ্নেরই এক সময়োচিত সম্প্রসারণ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং এর সুঠাম-স্বনির্ভর অভিযাত্রার সঙ্গে জিয়া পরিবারের যে আত্মিক বন্ধন, তার ধারাবাহিকতায় তারেক রহমান আজ অজেয় উত্তরাধিকারে স্থিত হয়েছেন। কৃষির উন্নয়ন এবং একে ভিত্তি করে শিল্পের বিকাশ সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, কৃষকের জন্য ভালো বীজ দেওয়া, গরিবের সঙ্গে হাঁস-মুরগির প্রতিপালনসহ অসংখ্য কাজে তিনি হাত বাড়িয়েছেন আগ্রহ ভরে। গ্রামে গ্রামে জরিপ চালিয়েছেন কত মাছ, ফল, ধান হয় প্রতি গ্রামে। সাগরে ও নদীতে জেগে ওঠা পলিকে সোনা বানানোর রূপকল্পও তাঁর ভাবনার বাইরে নয়। ‘একটু উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সফলতা’ – এই কর্তব্যতন্ত্রকে ছড়িয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন প্রতিটি জনপদে মানবিকতার বিকাশ হোক, সবাই হয়ে উঠুক সবার জন্য।

তলাবিহীন একটি ঝুঁড়িকে, দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পীড়িত একটি দেশকে প্রেসিডেন্ট জিয়া যেভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন, ভিক্ষুকের হাতকে যেভাবে কর্মীর হাতে পরিণত করার জন্য প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের খপ্পর থেকে রাজনীতিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্ত মাঠে; নিজে শক্ত হাতে কোদাল চালিয়ে অনাবাদি মাঠে এনেছিলেন ফসলের সমারোহ, ভরিয়ে দিয়েছিলেন ফসলের সুষমায়, তারেক রহমানও আজ একইভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর কর্মপ্রবাহের মধ্যে কৃষি ও শিক্ষা পাচ্ছে সর্বাধিক মনোযোগ।

জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য যে দেশপ্রেম, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সময়ের চাইতে এগিয়ে চলা, প্রাগ্রসর পৃথিবীর পায়ের সাথে পা মিলিয়ে চলা, আত্ম-পরিচয়ের পতাকাকে সমুন্নত রাখা, সম্মান ও মর্যাদার শৌর্য ও আভিজাত্যের সৌরভ সর্বত্র সম্প্রসারিত করা, রাষ্ট্রের পরিচালনা কাঠামোর সঙ্গে তারুণ্যকে দেশের ভবিষ্যত নাগরিক সংযুক্ত করার বাসনা এই তারুণ্যে দীপ্ত জননেতার মধ্যে মূর্ত হয়ে উঠেছে। আবার শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় সর্বস্তরের মানুষকে সংহতি, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে একত্রিত করার ভিতর দিয়ে তিনি জাতীয় শক্তি মজবুত করেছেন। ফলে এ কথা অবলীলায় বলা যায়, সান-ইয়াং সেনের পর মাও-সে-তুঙ এবং মাও-সে-তুঙ্গের পর দেং শিয়াও পিং যেমন চীনের জন্য অনিবার্য ছিল, জওহরলাল নেহেরুর পর ইন্দিরা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীর পর রাজীব গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর পর সোনিয়া কিংবা রাহুল গান্ধী যেমন আজকের ভারতের জন্য অপরিহার্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতেও শহীদ জিয়ার পর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অনিবার্য। আগেই বলা হয়েছে, শুধু রক্ত সম্পর্কের কারনে নয়, যোগ্যতার বলেই দীপ্তিমান হয়ে উঠছেন জননেতা তারেক রহমান।

বাংলাদেশের মানুষ এই তরুণ নেতার মধ্যে একদিকে যেমন উন্নয়ন ও অগ্রগতির রাজনীতির চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখার প্রত্যয় দেখতে পাচ্ছেন, অন্যদিকে খুঁজে পাচ্ছেন শহীদ জিয়ার প্রতিচ্ছবি। তারেক রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আওয়ামীলীগের অপরাজনীতির জন্য আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শেখ হাসিনা ও তার দল তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার নানা ফন্দি আঁটছেন। তাঁকে রুখতে সরকার আইন-আদালত শুরু করে সব শক্তি কাজে লাগাচ্ছে। ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আদালতের আদেশের মাধ্যমে মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত জারি করেছে। তবে এটিও সত্য অব্যাহত ফ্যাসিবাদী নিপীড়ন তারেক রহমানকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলছে।

এটি সত্য যে, তারেক রহমান দল এবং দেশের জন্য অনন্য সম্পদ। তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন হবে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কবর রচনা। এই ভয় থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পতিত সরকার তারেক রহমানকে দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে দেয় নি। মিথ্যা মামলা ও সাজা দিয়ে এমনকি গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা হয়েছিল। মিথ্যাচার, প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে তাঁর ইমেজ ক্ষুন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয় নি, শেষ বিচারে তারেক রহমানেরই জয় হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে আর তারেক রহমান জনগনের হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন। গোটা জাতি এখন তারেক রহমানের অপেক্ষায়। তাদের বিশ্বাস তারেক রহমানই পারেন ফ্যাসিবাদী সরকারের দু:শাসনে ক্ষত-বিক্ষত এ জাতিকে রক্ষা করতে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন তাঁর আগমনের প্রতীক্ষায়।

তারেক রহমান ইনশাআল্লাহ দেশে ফিরে আসবেন সহসায় গণতন্ত্রের এক বিজয়ী সেনাপতি হিসেবে।

লেখক: কাদের গনি চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘রাজনৈতিক প্রকৌশলী তারেক রহমান, শুভ জন্মদিন’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসময়ের সবচেয়ে যোগ্য, মেধাবী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক তারেক রহমান। এদেশের কোটি তরুণ ও যুবসমাজের কাছে তিনি আইডল। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের চিন্তায় তিনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতার ঘোষক ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতিতে তারেক রহমানের নামটিই এখন উচ্চারিত হচ্ছে সগৌরবে। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্যারিশম্যাটিক ভবিষ্যত নেতাদের সাথে বাংলাদেশের তারেক রহমানের নামও আলোচিত হচ্ছে। তাঁর তৃণমূলের রাজনীতি নিয়ে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গবেষণা হচ্ছে।

ক্যামব্রিজের রিজেন্ট স্ট্রিটে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি আর্মস-এর চার্চিল অডিটোরিয়ামে তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তা ও ভাবনা নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা হয় তারেক রহমানের রাজনীতি নিয়ে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ সময়ে বহুল আলোচিত ও সমাদৃত তারেক রহমানকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন তারা। এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন। তিনি পরনির্ভরশীলতার জাল ছিন্ন করে দেশের মানুষকে উন্নত জাতির মর্যাদায় উন্নীত করতে চান।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সেমিনারে বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের সাবেক ডিরেক্টর ফ্রান্সিস ডেভিস, ইয়ং ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ডেভিড এগলার ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য জন ক্লেটন।

ফ্রান্সিস ডেভিস বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন মানুষের মাঝে, বিশেষ করে বাংলাদেশীদের মনে একটি স্বপ্নের বীজ বুনতে পারে। একটি উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন তারেক। তার স্বপ্ন মানুষের উন্নয়ন ও দেশের সমৃদ্ধি নিয়ে। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছেন। এটা খুব সুন্দর উদ্যোগ।

ডেভিড এডগার বলেন, তারেক রহমান ডিজিটাল বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক-প্রকৌশলী। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে তার নেতৃত্ব প্রয়োজন।

জন ক্লেটন তারেক রহমানকে একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে ভাষা বুঝতে পারেন। একটি দেশের উন্নয়নের জন্যে রাজনীতিবিদদের এই গুণ থাকা খুব বেশি প্রয়োজন। তারেক রহমানকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তারেক রহমানের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা আজ অনেকের কাছে রীতিমত ঈর্ষনীয়। তিনি মাটি ও মানুষের নেতা-স্বপ্ন দেখেন একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশের। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও জাতিপ্রেমী ডায়নামিক লিডার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশের মানুষের এক প্রোজ্জ্বল নেতা।

তারেক রহমান তার মেধা, প্রজ্ঞা, কর্মবীরত্ব, ত্যাগ, ভিশনারী বক্তব্য, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগাতে পেরেছেন। যা এর আগে একমাত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই পেরেছিলেন। তারেক রহমান প্রচলিত রাজনীতি বদলাতে চেয়েছিলেন। রাজধানীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ড্রয়িংরুমের রাজনীতিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তৃণমূলে। তিনি ১৮ কোটি মানুষকে উন্নয়নের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিলেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই তিনি রাজধানী ছেড়ে ছুটে গেছেন তৃণমূলে। মাটি ও মানুষকে জাগিয়ে বাংলাদেশকে আপন সম্পদে স্বয়ম্ভর করা, আধুনিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো, প্রান্তিক মানুষকে সামনে রেখে রাজনীতিকে বিকাশিত করা, গণতন্ত্রের আত্মাকে সজীব-সচল করা — সবই তার ঘোষিত স্বপ্ন যা শহীদ জিয়ার স্বপ্নেরই এক সময়োচিত সম্প্রসারণ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং এর সুঠাম-স্বনির্ভর অভিযাত্রার সঙ্গে জিয়া পরিবারের যে আত্মিক বন্ধন, তার ধারাবাহিকতায় তারেক রহমান আজ অজেয় উত্তরাধিকারে স্থিত হয়েছেন। কৃষির উন্নয়ন এবং একে ভিত্তি করে শিল্পের বিকাশ সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, কৃষকের জন্য ভালো বীজ দেওয়া, গরিবের সঙ্গে হাঁস-মুরগির প্রতিপালনসহ অসংখ্য কাজে তিনি হাত বাড়িয়েছেন আগ্রহ ভরে। গ্রামে গ্রামে জরিপ চালিয়েছেন কত মাছ, ফল, ধান হয় প্রতি গ্রামে। সাগরে ও নদীতে জেগে ওঠা পলিকে সোনা বানানোর রূপকল্পও তাঁর ভাবনার বাইরে নয়। ‘একটু উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সফলতা’ – এই কর্তব্যতন্ত্রকে ছড়িয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন প্রতিটি জনপদে মানবিকতার বিকাশ হোক, সবাই হয়ে উঠুক সবার জন্য।

তলাবিহীন একটি ঝুঁড়িকে, দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পীড়িত একটি দেশকে প্রেসিডেন্ট জিয়া যেভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন, ভিক্ষুকের হাতকে যেভাবে কর্মীর হাতে পরিণত করার জন্য প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের খপ্পর থেকে রাজনীতিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্ত মাঠে; নিজে শক্ত হাতে কোদাল চালিয়ে অনাবাদি মাঠে এনেছিলেন ফসলের সমারোহ, ভরিয়ে দিয়েছিলেন ফসলের সুষমায়, তারেক রহমানও আজ একইভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর কর্মপ্রবাহের মধ্যে কৃষি ও শিক্ষা পাচ্ছে সর্বাধিক মনোযোগ।

জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য যে দেশপ্রেম, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সময়ের চাইতে এগিয়ে চলা, প্রাগ্রসর পৃথিবীর পায়ের সাথে পা মিলিয়ে চলা, আত্ম-পরিচয়ের পতাকাকে সমুন্নত রাখা, সম্মান ও মর্যাদার শৌর্য ও আভিজাত্যের সৌরভ সর্বত্র সম্প্রসারিত করা, রাষ্ট্রের পরিচালনা কাঠামোর সঙ্গে তারুণ্যকে দেশের ভবিষ্যত নাগরিক সংযুক্ত করার বাসনা এই তারুণ্যে দীপ্ত জননেতার মধ্যে মূর্ত হয়ে উঠেছে। আবার শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় সর্বস্তরের মানুষকে সংহতি, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে একত্রিত করার ভিতর দিয়ে তিনি জাতীয় শক্তি মজবুত করেছেন। ফলে এ কথা অবলীলায় বলা যায়, সান-ইয়াং সেনের পর মাও-সে-তুঙ এবং মাও-সে-তুঙ্গের পর দেং শিয়াও পিং যেমন চীনের জন্য অনিবার্য ছিল, জওহরলাল নেহেরুর পর ইন্দিরা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীর পর রাজীব গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর পর সোনিয়া কিংবা রাহুল গান্ধী যেমন আজকের ভারতের জন্য অপরিহার্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতেও শহীদ জিয়ার পর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অনিবার্য। আগেই বলা হয়েছে, শুধু রক্ত সম্পর্কের কারনে নয়, যোগ্যতার বলেই দীপ্তিমান হয়ে উঠছেন জননেতা তারেক রহমান।

বাংলাদেশের মানুষ এই তরুণ নেতার মধ্যে একদিকে যেমন উন্নয়ন ও অগ্রগতির রাজনীতির চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখার প্রত্যয় দেখতে পাচ্ছেন, অন্যদিকে খুঁজে পাচ্ছেন শহীদ জিয়ার প্রতিচ্ছবি। তারেক রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আওয়ামীলীগের অপরাজনীতির জন্য আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শেখ হাসিনা ও তার দল তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার নানা ফন্দি আঁটছেন। তাঁকে রুখতে সরকার আইন-আদালত শুরু করে সব শক্তি কাজে লাগাচ্ছে। ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আদালতের আদেশের মাধ্যমে মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত জারি করেছে। তবে এটিও সত্য অব্যাহত ফ্যাসিবাদী নিপীড়ন তারেক রহমানকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলছে।

এটি সত্য যে, তারেক রহমান দল এবং দেশের জন্য অনন্য সম্পদ। তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন হবে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কবর রচনা। এই ভয় থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পতিত সরকার তারেক রহমানকে দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে দেয় নি। মিথ্যা মামলা ও সাজা দিয়ে এমনকি গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা হয়েছিল। মিথ্যাচার, প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে তাঁর ইমেজ ক্ষুন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয় নি, শেষ বিচারে তারেক রহমানেরই জয় হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে আর তারেক রহমান জনগনের হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন। গোটা জাতি এখন তারেক রহমানের অপেক্ষায়। তাদের বিশ্বাস তারেক রহমানই পারেন ফ্যাসিবাদী সরকারের দু:শাসনে ক্ষত-বিক্ষত এ জাতিকে রক্ষা করতে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন তাঁর আগমনের প্রতীক্ষায়।

তারেক রহমান ইনশাআল্লাহ দেশে ফিরে আসবেন সহসায় গণতন্ত্রের এক বিজয়ী সেনাপতি হিসেবে।

লেখক: কাদের গনি চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক।