ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসকনকে নিষিদ্ধ করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার দাবিতে সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ থেকে উগ্রতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী সংগঠন ইসকন ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করাসহ মুসলমান খুনের প্ররোচনাকারী সকল উগ্র নেতাদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর মালিবাগ মোড় ফালইফারাহু চত্বরে আয়োজিত এক ‘বিক্ষোভ সমাবেশে’ এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতার বক্তারা বলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদের আড়ালে ইসরাঈলী সংগঠন ইসকন এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল উগ্র হিন্দুদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কারন ইসকন হিন্দুদের কোন সংগঠন নয়, হিন্দুবেশধারী ইহুদীদের একটি সংগঠন। “ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় আমেরিকার নিউইয়র্কে। মাত্র ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, সে লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী, কিন্তু হঠাৎ করেই তথাকথিত প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করেছিলো। কিন্তু সেই সময়তথাকথিত প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত চিহ্নিত ইহুদী-খ্রিস্টান এজেন্টরা। এ সংগঠনটির মূল ধারণা মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত। চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন। যার অর্থ- সারা পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো।

তারা বলেন, বাংলাদেশে তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে সাম্প্রদায়িক হামলা করা। কিছুদিন আগে ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদের তারাবীর নামাজে সন্ত্রাসী হামলা করে ইসকন। এরপরে সেই কাজ করে সিলেটে। চট্টগ্রামে কদম রসূল মসজিদে হামলা করে তারা। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মহাসমাবেশের নামে মুসলমান-হিন্দু দাঙ্গা তৈরী করে দেশকে তথাকথিত অখন্ড ভারতের অন্তুর্ভুক্ত করতে চায়। তাবা চায় বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরী করে, উগ্রহিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটাতে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করা। যেমন- জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ইত্যাদি। বর্তমান অনলাইন জগতে যে ইসলাম অবমাননা হচ্ছে তার ৯০ ভাগ করেছে ইসকনের সদস্যরা। কিছুদিন পূর্বে তারা চট্টগ্রামে ৭ জন পুলিশ সদস্যদের গায়ে তীব্র এসিড নিক্ষেপ করেছে। এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ আইনের ৪ নং ধারা অনুসারে, কোন ব্যক্তি এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটালে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং অতিরিক্ত হিসেবে অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

সবার শেষ কথা হচ্ছে- বাংলাদেশে যদি এখনই ইসকনকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে, যেই বিপদে বাংলাদেশে স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ণ হতে পারে। উগ্র ইসকনের সাথে একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এদের সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এরা সবাই ইসরায়েলী ইহুদিদের গোপন দল!


সিঙ্গাপুরে ১৯৭৭ সালে ইসকনের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপ এবং সিঙ্গাপুরের যুবকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই সময়ে, সিঙ্গাপুর সরকার এমন সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করেছিলো যেগুলি ছিলো সিঙ্গাপুরের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরুপ। প্রতিবেদন অনুসারে, ইসকনের বিরুদ্ধে যুবকদের মগজ ধোলাই করতে এবং তাদের পরিবার ও সমাজকে প্রত্যাখ্যান করতে উত্সাহিত করার জন্য সম্মোহন কৌশল ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সংস্থাটির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগও ছিলো। এই অভিযোগের ফলস্বরূপ, সিঙ্গাপুর সরকার ১৯৭৭ সালে ইসকনকে নিষিদ্ধ করে, এবং এর সদস্যদের গ্রেফতার ও নির্বাসিত করা হয়। তাহলে বাংলাদেশে তারা ব্যাপকভাবেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী উস্কানি ছড়ানোর অপরাধে, পুলিশ সদস্যদের এসিড নিক্ষেপ করার অপরাধে, মুসলিম মেয়েদেরকে ভাগওয়া ট্রাপ নামক ফাঁদে ফেলে ভারতের পতিতালয়ে পাচার করার অপরাধে, মসজিদ-মাদরাসায় হামলা করার অপরাধে, অখন্ড ভারতের দাবী তুলে দেশদ্রোহীতার অপরাধে অবশ্যই ইসকনকে এবং তাদের সমর্থক হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদের সদস্য ও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হয় ইহুদি ইজরায়েল এদের মাধ্যমে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে।

মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না। সবাই নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারলে মুসলমানরা কেন বলতে পারবে না? মুসলমানদেরকেও নিজেদের অধিকারের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। কিছুতেই মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না।


সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার দুই শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইসকনকে নিষিদ্ধ করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার দাবিতে সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে উগ্রতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী সংগঠন ইসকন ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করাসহ মুসলমান খুনের প্ররোচনাকারী সকল উগ্র নেতাদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর মালিবাগ মোড় ফালইফারাহু চত্বরে আয়োজিত এক ‘বিক্ষোভ সমাবেশে’ এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতার বক্তারা বলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদের আড়ালে ইসরাঈলী সংগঠন ইসকন এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল উগ্র হিন্দুদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কারন ইসকন হিন্দুদের কোন সংগঠন নয়, হিন্দুবেশধারী ইহুদীদের একটি সংগঠন। “ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় আমেরিকার নিউইয়র্কে। মাত্র ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, সে লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী, কিন্তু হঠাৎ করেই তথাকথিত প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করেছিলো। কিন্তু সেই সময়তথাকথিত প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত চিহ্নিত ইহুদী-খ্রিস্টান এজেন্টরা। এ সংগঠনটির মূল ধারণা মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত। চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন। যার অর্থ- সারা পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো।

তারা বলেন, বাংলাদেশে তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে সাম্প্রদায়িক হামলা করা। কিছুদিন আগে ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদের তারাবীর নামাজে সন্ত্রাসী হামলা করে ইসকন। এরপরে সেই কাজ করে সিলেটে। চট্টগ্রামে কদম রসূল মসজিদে হামলা করে তারা। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মহাসমাবেশের নামে মুসলমান-হিন্দু দাঙ্গা তৈরী করে দেশকে তথাকথিত অখন্ড ভারতের অন্তুর্ভুক্ত করতে চায়। তাবা চায় বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরী করে, উগ্রহিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটাতে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করা। যেমন- জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ইত্যাদি। বর্তমান অনলাইন জগতে যে ইসলাম অবমাননা হচ্ছে তার ৯০ ভাগ করেছে ইসকনের সদস্যরা। কিছুদিন পূর্বে তারা চট্টগ্রামে ৭ জন পুলিশ সদস্যদের গায়ে তীব্র এসিড নিক্ষেপ করেছে। এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ আইনের ৪ নং ধারা অনুসারে, কোন ব্যক্তি এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটালে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং অতিরিক্ত হিসেবে অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

সবার শেষ কথা হচ্ছে- বাংলাদেশে যদি এখনই ইসকনকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে, যেই বিপদে বাংলাদেশে স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ণ হতে পারে। উগ্র ইসকনের সাথে একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এদের সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এরা সবাই ইসরায়েলী ইহুদিদের গোপন দল!


সিঙ্গাপুরে ১৯৭৭ সালে ইসকনের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপ এবং সিঙ্গাপুরের যুবকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই সময়ে, সিঙ্গাপুর সরকার এমন সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করেছিলো যেগুলি ছিলো সিঙ্গাপুরের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরুপ। প্রতিবেদন অনুসারে, ইসকনের বিরুদ্ধে যুবকদের মগজ ধোলাই করতে এবং তাদের পরিবার ও সমাজকে প্রত্যাখ্যান করতে উত্সাহিত করার জন্য সম্মোহন কৌশল ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সংস্থাটির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগও ছিলো। এই অভিযোগের ফলস্বরূপ, সিঙ্গাপুর সরকার ১৯৭৭ সালে ইসকনকে নিষিদ্ধ করে, এবং এর সদস্যদের গ্রেফতার ও নির্বাসিত করা হয়। তাহলে বাংলাদেশে তারা ব্যাপকভাবেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী উস্কানি ছড়ানোর অপরাধে, পুলিশ সদস্যদের এসিড নিক্ষেপ করার অপরাধে, মুসলিম মেয়েদেরকে ভাগওয়া ট্রাপ নামক ফাঁদে ফেলে ভারতের পতিতালয়ে পাচার করার অপরাধে, মসজিদ-মাদরাসায় হামলা করার অপরাধে, অখন্ড ভারতের দাবী তুলে দেশদ্রোহীতার অপরাধে অবশ্যই ইসকনকে এবং তাদের সমর্থক হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদের সদস্য ও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হয় ইহুদি ইজরায়েল এদের মাধ্যমে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে।

মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না। সবাই নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারলে মুসলমানরা কেন বলতে পারবে না? মুসলমানদেরকেও নিজেদের অধিকারের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। কিছুতেই মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না।


সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার দুই শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।