ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুর হোসেন দিবস ঘিরে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ রোববা (১০ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণকে আসার ডাক দিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত কয়েকটি পোস্ট দেওয়া হয়।

এছাড়াও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনৈক আওয়ামী লীগ নেতকর্মীদের একটি অনলাইন বৈঠকের অডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে ঢাকার তিন প্রবেশমুখ আটকে, ঢাকায় গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করতে শোনা যায় তাদের। তবে অডিওটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে ১৫ আগস্টের পর আরও একবার দলটির প্রকাশ্য কর্মসূচির ঘোষণায় রাজনীতিতে চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কেউ সরাসরি কোনো মন্তব্য বা প্রতিরোধের ঘোষাণা দেননি।

গণ আন্দোলনের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও।
এছাড়া উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ রোববার দুপুর ১২টায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত ও ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের আয়োজন করবে সংগঠনটি। গতকাল শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আওয়ামীলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ১০ নভেম্বর আসুন- নূর হোসেন চত্বরে জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, ঢাকা। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যাহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে। অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে আপনিও অংশ নিন।

১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। দিবসটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি পালন করে থাকেন। দিবসটিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে রাজপথে নামার ঘোষণা সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। পাল্টা তাদের নিয়ে হাস্যরস কিংবা প্রতিরোধেরও ডাক দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকতে দেখা গেছে বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে।

এই কর্মসূচি ঘোষণার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকে তারা বরদাশত করবে না। তিনিও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা লেখেন। প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে কেউ সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণাঙ্গভাবে মোকাবিলা করবে। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকে বরদাশত করবে না।

তার বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, গণহত্যাকারী বা নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নিবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গত ৫ অগাস্ট গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেদিনই দলটির কেন্দ্রীয়, ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা কার্যালয়ে হামলা করে লুটের পর আগুন দেওয়া হয়। সেদিন থেকেই দলটির শীর্ষস্থানীয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে। গোপালগঞ্জ ছাড়া অল্প দুই একটি জেলায় মিছিল হয়েছে। ঢাকায় গভীর রাতে বা ভোটে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল দেখা গেছে।

শহীদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগ আসলে কী করবে- এই প্রশ্নে দলের জ্যেষ্ঠ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, নূর হোসেন দিবস আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ধরে পালন করে আসছে। এই দিনটি উপলক্ষে আমাদের নতুন করে কর্মসূচি দেওয়ার কিছু নেই। দেশের সব রাজনৈতিক দল পালন করে, আমরাও পালন করে আসছি। আগামীকাল ১০ নভেম্বর আমরা নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করব।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা সরাসরি কোনো কথা বলেননি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, বিভিন্ন রকম নেগেটিভ কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু কিছু মিডিয়া তাকে প্রোমোট করছে। যেটা আমি মনে করি কখনই জনগণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমি অনুরোধ করব, যারা এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা দয়া করে এটাকে বন্ধ করুন।

এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা অন্তর্বর্তীকালীন ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালাচ্ছে। খুনি হাসিনা মানবতাবিরোধী গণহত্যার জন্য অনুশোচনা না করে দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নুর হোসেন দিবস ঘিরে উত্তেজনা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ রোববা (১০ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণকে আসার ডাক দিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত কয়েকটি পোস্ট দেওয়া হয়।

এছাড়াও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনৈক আওয়ামী লীগ নেতকর্মীদের একটি অনলাইন বৈঠকের অডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে ঢাকার তিন প্রবেশমুখ আটকে, ঢাকায় গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করতে শোনা যায় তাদের। তবে অডিওটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে ১৫ আগস্টের পর আরও একবার দলটির প্রকাশ্য কর্মসূচির ঘোষণায় রাজনীতিতে চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কেউ সরাসরি কোনো মন্তব্য বা প্রতিরোধের ঘোষাণা দেননি।

গণ আন্দোলনের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও।
এছাড়া উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ রোববার দুপুর ১২টায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত ও ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের আয়োজন করবে সংগঠনটি। গতকাল শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আওয়ামীলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ১০ নভেম্বর আসুন- নূর হোসেন চত্বরে জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, ঢাকা। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যাহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে। অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে আপনিও অংশ নিন।

১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। দিবসটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি পালন করে থাকেন। দিবসটিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে রাজপথে নামার ঘোষণা সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। পাল্টা তাদের নিয়ে হাস্যরস কিংবা প্রতিরোধেরও ডাক দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকতে দেখা গেছে বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে।

এই কর্মসূচি ঘোষণার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকে তারা বরদাশত করবে না। তিনিও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা লেখেন। প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে কেউ সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণাঙ্গভাবে মোকাবিলা করবে। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকে বরদাশত করবে না।

তার বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, গণহত্যাকারী বা নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নিবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গত ৫ অগাস্ট গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেদিনই দলটির কেন্দ্রীয়, ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা কার্যালয়ে হামলা করে লুটের পর আগুন দেওয়া হয়। সেদিন থেকেই দলটির শীর্ষস্থানীয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে। গোপালগঞ্জ ছাড়া অল্প দুই একটি জেলায় মিছিল হয়েছে। ঢাকায় গভীর রাতে বা ভোটে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল দেখা গেছে।

শহীদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগ আসলে কী করবে- এই প্রশ্নে দলের জ্যেষ্ঠ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, নূর হোসেন দিবস আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ধরে পালন করে আসছে। এই দিনটি উপলক্ষে আমাদের নতুন করে কর্মসূচি দেওয়ার কিছু নেই। দেশের সব রাজনৈতিক দল পালন করে, আমরাও পালন করে আসছি। আগামীকাল ১০ নভেম্বর আমরা নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করব।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা সরাসরি কোনো কথা বলেননি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, বিভিন্ন রকম নেগেটিভ কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু কিছু মিডিয়া তাকে প্রোমোট করছে। যেটা আমি মনে করি কখনই জনগণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমি অনুরোধ করব, যারা এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা দয়া করে এটাকে বন্ধ করুন।

এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা অন্তর্বর্তীকালীন ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালাচ্ছে। খুনি হাসিনা মানবতাবিরোধী গণহত্যার জন্য অনুশোচনা না করে দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত।