ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুল্ক ছাড়, তবুও বাড়ছে দাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর খুচরা বাজারে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। চড়া দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম নতুন করে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানির ওপর থেকে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে।

এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এনবিআর পেঁয়াজ আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। শুল্ক ছাড়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ দেশে আসছে। তবুও দাম কমছে না, বরং উল্টো বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগার গেটে আলুর দর বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটে দেশি ও আমদানি দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম বাড়তি।

রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। সরবরাহ সংকটে বাজারে দেশি রসুনের দামও কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় উঠেছে।

আমদানি রসুন কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দরেই কিনতে হচ্ছে মুরগি। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। আর সোনালি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কাঁচা মরিচের দাম কমে কেজি মানভেদে খুচরায় ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পণ্যের উচ্চমূল্যের মধ্যে নতুন করে পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর বাজারের অস্থিরতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের কোনো সংকট দেখছি না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।

টিসিবি’র তথ্যমতে, এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢেঁড়স, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকায়, পটোল কেজি ৫০ টাকায়, টমেটো কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, শিম কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, লম্বা বেগুন কেজি ৭০ টাকায়, করলা কেজি ৬০ থকে ৭০ টাকায়, শসা কেজি ৭০ টাকায়, কচুমুখি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শুল্ক ছাড়, তবুও বাড়ছে দাম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর খুচরা বাজারে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। চড়া দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম নতুন করে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানির ওপর থেকে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে।

এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এনবিআর পেঁয়াজ আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। শুল্ক ছাড়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ দেশে আসছে। তবুও দাম কমছে না, বরং উল্টো বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগার গেটে আলুর দর বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটে দেশি ও আমদানি দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম বাড়তি।

রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। সরবরাহ সংকটে বাজারে দেশি রসুনের দামও কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় উঠেছে।

আমদানি রসুন কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দরেই কিনতে হচ্ছে মুরগি। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। আর সোনালি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। কাঁচা মরিচের দাম কমে কেজি মানভেদে খুচরায় ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পণ্যের উচ্চমূল্যের মধ্যে নতুন করে পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর বাজারের অস্থিরতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের কোনো সংকট দেখছি না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।

টিসিবি’র তথ্যমতে, এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢেঁড়স, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকায়, পটোল কেজি ৫০ টাকায়, টমেটো কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, শিম কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, লম্বা বেগুন কেজি ৭০ টাকায়, করলা কেজি ৬০ থকে ৭০ টাকায়, শসা কেজি ৭০ টাকায়, কচুমুখি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।