কৃষি অফিসে ১০৯ কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতি, দুদকের অনুসন্ধান
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
খামারবাড়ির অনিয়ম-দুর্নীতি দুদকের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ ওঠার পর ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন এবং ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ’ নামক প্রকল্প নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মো. তানজিল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আইন অনুযায়ী কৃষি তথ্য সার্ভিসের সাবেক পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায় ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুসন্ধান শুরুর কথা বলা হয়। ১০৯ কোটি টাকার প্রকল্পের অধীন ২৯ কোটি টাকার ১৩টি প্রেস মেশিন কেনার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, দরপত্র শিডিউল, সিডিউল বিক্রির রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছে দুদক।
এর আগে কৃষি তথ্য সার্ভিসের আধুনিকায়ন প্রকল্পের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় দুদক। সাবেক কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়, প্রধান তথ্য অফিসার বি এম রাশেদুল আলম, প্রেস ম্যানেজার খন্দকার জান্নাতুল ফেরদাউস, প্রেস শাখার স্টোর কিপার ইসরাত জাহান খান ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের স্টোর কিপার আরিফুল ইসলাম, প্রদর্শনী বিশেষজ্ঞ সমীরণ বিশ্বাস ও ইলেকট্রেশিয়ান সোলায়মানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কৃষি তথ্য সার্ভিসের অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকার মালামাল। তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক তাপস কুমারের অনিয়ম-দুর্নীতির পেছনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন আওয়ামীপন্থী কৃষি ক্যাডারের সম্পর্ক আছে।
গত ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও সুকৌশলে সেফ জোনে চলে যান দুর্নীতির মূল পরিকল্পনাকারী প্রকল্প পরিচালক তাপস কুমার। বদলি করা হয় কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক আওয়ামী ফ্যাস্টিস সরকারে দোসর ড. সুরজিত সাহা রায় এবং আমিনুর ইসলামকে। তবে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।