ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লজ্জার পরাজয় বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চট্টগ্রাম টেস্টে ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের করা ৫৭৫ রানের বিপরীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয় নাজমুল শান্তর দল।

এর ফলে ফলো-অনে পড়ে স্বাগতিকরা। ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও খেই হারায় টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রানে অলআউট হলে বিশাল হারের মুখ দেখার পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে শান্ত-মুমিনুল-মুশফিকরা। টেস্টের তৃতীয় দিনেই লজ্জার পরাজয় দেখতে হল বাংলাদেশের।

তৃতীয় দিনের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য মুমিনুল-তাইজুল জুটিতে দারুণ এক প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারা।

দিনের লাঞ্চের পর প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়লে, প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে আবারও ব্যাটিং নামে শান্তরা।

আগের দিনের ৩৮ রানের ৪ উইকেট নিয়ে খেলতে নিয়ে তৃতীয় দিনের শুরুতে ফের খেই হারায় নাজমুল শান্তর দল। স্কোর বোর্ডে ১০ রান যোগ হতেই বিদায় নেয় আরও ৪ ব্যাটার। দলীয় ৪৬ রানের পর স্কোর বোর্ডে ২ রানের মাঝে সাজঘরে ফেরেন শান্ত, মুশফিক মিরাজ ও অঙ্কন। এর মাঝে রাবাদা একাই নেন ৩ উইকেট।

অধিনায়ক নাজমুল শান্তকে বিদায় করে দিয়ে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে প্রথম আঘাত হানেন রাবাদা। ব্যক্তিগত ৯ ও দলীয় ৪৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ডাক মেরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিক। পিটারসনের বলে জর্জির তালুবন্দি হন তিনি। এরপর মিরাজ-অঙ্কন দুজনকেই বিদায় করেন রাবাদা। অভিষিক্ত অঙ্কন ফেরেন শূন্য রানে।অঙ্কনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল। তাকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়েন মুমিনুল হক। অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল হক।

৮ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে লাঞ্চের পর নেমে আরও ১৪ রান যোগ করে ফেরেন মুমিনুল। মুথুসামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে তার ৮১ রানের ইনিংস সমাপ্ত হয়। এরপর নবম উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়া তাইজুলও দ্রুত ফিরে যান। কেশব মহারাজকে তার বলেই ক্যাচ দিয়ে ৩০ রানে থামেন তিনি। শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়ার পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে নাজমুল শান্তর দল। তবে গল্প এখানেও পাল্টায়নি। আগের মতোই বাংলাদেশের টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর। চা-বিরতির আগে দলীয় ৪৩ রানেই নেই ৪ ব্যাটার।ইনিংসের শুরুতেই ৪১৬ রানের পিছিয়ে থাকা।

এদিকে তৃতীয় দিনের অর্ধেক পেরিয়েছে। এর অর্থ হলো ম্যাচের অর্ধেক এখনও বাকি। তাই বুঝেশুনে ব্যাট চালানোটাই মুখ্য। কিন্তু, হিতে বিপরীত। সেই আগের ইনিংসের মতোই সাজঘরে ফেরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল ব্যাটারদের মধ্যে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লজ্জার পরাজয় বাংলাদেশের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চট্টগ্রাম টেস্টে ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের করা ৫৭৫ রানের বিপরীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয় নাজমুল শান্তর দল।

এর ফলে ফলো-অনে পড়ে স্বাগতিকরা। ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও খেই হারায় টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রানে অলআউট হলে বিশাল হারের মুখ দেখার পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে শান্ত-মুমিনুল-মুশফিকরা। টেস্টের তৃতীয় দিনেই লজ্জার পরাজয় দেখতে হল বাংলাদেশের।

তৃতীয় দিনের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য মুমিনুল-তাইজুল জুটিতে দারুণ এক প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারা।

দিনের লাঞ্চের পর প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়লে, প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে আবারও ব্যাটিং নামে শান্তরা।

আগের দিনের ৩৮ রানের ৪ উইকেট নিয়ে খেলতে নিয়ে তৃতীয় দিনের শুরুতে ফের খেই হারায় নাজমুল শান্তর দল। স্কোর বোর্ডে ১০ রান যোগ হতেই বিদায় নেয় আরও ৪ ব্যাটার। দলীয় ৪৬ রানের পর স্কোর বোর্ডে ২ রানের মাঝে সাজঘরে ফেরেন শান্ত, মুশফিক মিরাজ ও অঙ্কন। এর মাঝে রাবাদা একাই নেন ৩ উইকেট।

অধিনায়ক নাজমুল শান্তকে বিদায় করে দিয়ে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে প্রথম আঘাত হানেন রাবাদা। ব্যক্তিগত ৯ ও দলীয় ৪৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ডাক মেরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিক। পিটারসনের বলে জর্জির তালুবন্দি হন তিনি। এরপর মিরাজ-অঙ্কন দুজনকেই বিদায় করেন রাবাদা। অভিষিক্ত অঙ্কন ফেরেন শূন্য রানে।অঙ্কনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল। তাকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়েন মুমিনুল হক। অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল হক।

৮ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে লাঞ্চের পর নেমে আরও ১৪ রান যোগ করে ফেরেন মুমিনুল। মুথুসামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে তার ৮১ রানের ইনিংস সমাপ্ত হয়। এরপর নবম উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়া তাইজুলও দ্রুত ফিরে যান। কেশব মহারাজকে তার বলেই ক্যাচ দিয়ে ৩০ রানে থামেন তিনি। শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়ার পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে নাজমুল শান্তর দল। তবে গল্প এখানেও পাল্টায়নি। আগের মতোই বাংলাদেশের টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর। চা-বিরতির আগে দলীয় ৪৩ রানেই নেই ৪ ব্যাটার।ইনিংসের শুরুতেই ৪১৬ রানের পিছিয়ে থাকা।

এদিকে তৃতীয় দিনের অর্ধেক পেরিয়েছে। এর অর্থ হলো ম্যাচের অর্ধেক এখনও বাকি। তাই বুঝেশুনে ব্যাট চালানোটাই মুখ্য। কিন্তু, হিতে বিপরীত। সেই আগের ইনিংসের মতোই সাজঘরে ফেরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল ব্যাটারদের মধ্যে।