ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ডিজিএফআইয়ের সাথে মিলে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এমন তথ্য তুলে ধরেছেন।

গভর্নর দাবি করেন, শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখল করতে সাহায্য করেছে ডিজিএফআই। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো অধিগ্রহণের সময় নতুন অংশীদারদের ঋণ ও আমদানি খরচ বেশি দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এরকম ব্যাংক ডাকাতি অন্য কোথাও হয়নি। এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহীদের ওপর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা চাপ না দিলে এরকম কিছু সম্ভব হতো না।

বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যোগাযোগ করা হলেও আইএসপিআর এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। ডিজিএফআই থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ডিজিএফআইয়ের সাথে মিলে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এমন তথ্য তুলে ধরেছেন।

গভর্নর দাবি করেন, শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখল করতে সাহায্য করেছে ডিজিএফআই। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো অধিগ্রহণের সময় নতুন অংশীদারদের ঋণ ও আমদানি খরচ বেশি দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এরকম ব্যাংক ডাকাতি অন্য কোথাও হয়নি। এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহীদের ওপর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা চাপ না দিলে এরকম কিছু সম্ভব হতো না।

বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যোগাযোগ করা হলেও আইএসপিআর এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। ডিজিএফআই থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।