বললেন মাহমুদুর রহমান
জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এনেছেন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সংবিধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গার্বেজ’ উল্লেখ করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমান সাহেব সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এনেছেন। তারপরে আল্লাহর প্রতি আস্থা এনেছিলেন, যেটাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। জনগণের কোনো রেফারেন্ডম নেওয়া হয়নি এই সংবিধানের ব্যাপারে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “সংস্কার সংঘের” উদ্যোগে সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আবদুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে ও সা’দ মুসান্নার পরিচালনায় সংস্কার সংঘের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মো. মাহফুজ এলাহী।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আসমা সিদ্দিকা, সাবেক ডীন, আইন অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; মাহমুদ রেজা চৌধুরী, মার্কিন প্রবাসী সমাজবিজ্ঞানী; ড. এম নজরুল ইসলাম, রাজনীতি বিজ্ঞানী, শাবিপ্রবি; মোতাহার হোসেন, সাবেক সচিব; অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহ আব্দুল হালিম, সাবেক ব্যাংকার ও কলামিস্ট।
সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, এই সংবিধানকে রেখে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। কাজেই এই সংবিধান সংশোধন কিংবা পরিবর্তন যেটাই করুক না কেন, এটি একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট ঠিক করবে।
আমরা যদি বাহত্তরের সংবিধানেও ফিরে যাই, এটা কি বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করেছিল? এটা একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু জনগণের কাছ থেকে খোঁজার কখনো চেষ্টা করা হয়নি। যদিও আমরা বলে থাকি ড. কামাল হোসেন নাকি সংবিধানটি রচনা করেছিলেন, কিন্তু জনশ্রুতি আছে যে, সংবিধানটি ভারত থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশের তৎকালীন পার্লামেন্ট এটাকে রাবার স্ট্যাম্পের মতো করে একটা স্ট্যাম্প দিয়েছিল।
ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, সাবেক ভিসি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. তারেক ফজল, রাজনীতি বিজ্ঞানী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
ড. তারেক ফজল জনগণের মালিকানা প্রয়োগের উপায় কিভাবে হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে উল্লেখ করেন যে, প্রজাতন্ত্রের ধারণাটি রাজার অধীন একটি ভাবকে প্রকাশ করে। যার প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত জনতন্ত্র। এবং সেটি জনগণের শাসনের তন্ত্র নয় হতে হবে জনগণের গঠনের তন্ত্র। সেই সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় রেখে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে একটি ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞান ও মানবীয় শ্রেষ্ঠত্ব ও উন্নত মানবীয় গুণাবলির বিকাশের মূলনীতি গ্রহণ করতে হবে।
ড. এম নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন বাঙালী জাতীয়বাদের সাথে ইসলামের কোন দ্বন্দ্ব নাই। এমনকি ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত কোন দলই এধরণের বক্তব্য উপস্থাপন করেনি। এটি পরবর্তীতে চাপিয়ে দেয়া একটি বয়ান। আলোচকবৃন্দ নতুন আলোকে নতুন একটি সংবিধান প্রনয়নের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।