ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫৮৪ কোটি টাকার প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে টানেলের সাথে সড়ক নেটওয়ার্ক গড়তে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) চাতুরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ নামে ৫৮৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন হয়। অনুমোদনের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকার পতনের পর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। তবে যেহেতু প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে সেহেতু তা বাস্তবায়ন হবে জানান দক্ষিণ জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।

জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে চাতুরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট (এন-১২১) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ” নামের প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটি আনোয়ারা ব্যস্ততম বাজার চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে সিইউএফএল, মেরিন একাডেমি, বদলপুরা, দক্ষিণ শাহমীর পুর, জামতলা বাজার হয়ে কর্ণফুলী উপজেলার ফকিরনীর হাটে টানেল সংযুক্ত শিকলবাহা ওয়াই জংশন সড়কে যুক্ত হবে। সিইউএফএল সড়ক ও এলজিইডির দুইটি সড়কসহ মোট তিনটি সড়ক নিয়ে একীভূত করে সড়ক বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কটিতে চারটি সেতু ও ১৫টি কালভার্ট নির্মাণ ও বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সড়কটি দিয়ে ছোট-বড় প্রায় ১০০টি শিল্প কারখানার পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পশ্চিম অঞ্চলে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সেতু বন্ধন রচিত হবে। আনোয়ারা কর্ণফুলীর দুই লাখেরও বেশি মানুষে জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে, উন্নত হবে এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান।

এদিনেক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বৃহৎ জনআকাঙ্খার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। ইতিমধ্যে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ অগ্রগতির জন্য সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে চিঠি আবেদন পাঠিয়েছেন আনোয়ারা-কর্ণফুলীর প্রকল্প সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা।

স্থানীয় বদলপুরা গ্রামের আবু সৈয়দ নামের এক বাসিন্দা বলেন, সড়কটি আমাদের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। এখানে কেইপিজেড, সিইউএফএল, ডিএপিএফসিএল, মেরিন একাডেমি, চায়না ইকোনমিক জোন, কর্ণফুলী ড্রাইডকসহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী শিল্পকারখানা রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এসব শিল্পকারখানায় কাজ করে। সড়কটি হলে চট্টগ্রাম শহরের সাথে এসব শিল্পকারখানার যোগাযোগ সহজতর হবে। চাতরী চৌমুহনী, সিইউএফএল’র যানজট দূরীভূত হবে।

স্থানীয় বৈরাগ ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোরশেদুল আলম বলেন, এটি শিল্প এলাকা হলেও রাস্তা সংকীর্ণ হাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া রাস্তাটি হলে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর অনেক অবহেলিত গ্রামে উন্নয়নের ছুঁয়া লাগবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে দক্ষিণ জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, গত ১৯ অক্টোবর টেন্ডারের কথা ছিলো, কিন্তু তারিখ পিছিয়েছে। প্রকল্প যেহেতু অনুমোদন হয়েছে সেহেতু তা বাস্তবায়ন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৫৮৪ কোটি টাকার প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে টানেলের সাথে সড়ক নেটওয়ার্ক গড়তে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) চাতুরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ নামে ৫৮৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন হয়। অনুমোদনের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকার পতনের পর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। তবে যেহেতু প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে সেহেতু তা বাস্তবায়ন হবে জানান দক্ষিণ জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।

জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে চাতুরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট (এন-১২১) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ” নামের প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটি আনোয়ারা ব্যস্ততম বাজার চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে সিইউএফএল, মেরিন একাডেমি, বদলপুরা, দক্ষিণ শাহমীর পুর, জামতলা বাজার হয়ে কর্ণফুলী উপজেলার ফকিরনীর হাটে টানেল সংযুক্ত শিকলবাহা ওয়াই জংশন সড়কে যুক্ত হবে। সিইউএফএল সড়ক ও এলজিইডির দুইটি সড়কসহ মোট তিনটি সড়ক নিয়ে একীভূত করে সড়ক বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কটিতে চারটি সেতু ও ১৫টি কালভার্ট নির্মাণ ও বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সড়কটি দিয়ে ছোট-বড় প্রায় ১০০টি শিল্প কারখানার পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পশ্চিম অঞ্চলে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সেতু বন্ধন রচিত হবে। আনোয়ারা কর্ণফুলীর দুই লাখেরও বেশি মানুষে জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে, উন্নত হবে এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান।

এদিনেক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বৃহৎ জনআকাঙ্খার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। ইতিমধ্যে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ অগ্রগতির জন্য সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে চিঠি আবেদন পাঠিয়েছেন আনোয়ারা-কর্ণফুলীর প্রকল্প সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা।

স্থানীয় বদলপুরা গ্রামের আবু সৈয়দ নামের এক বাসিন্দা বলেন, সড়কটি আমাদের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। এখানে কেইপিজেড, সিইউএফএল, ডিএপিএফসিএল, মেরিন একাডেমি, চায়না ইকোনমিক জোন, কর্ণফুলী ড্রাইডকসহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী শিল্পকারখানা রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এসব শিল্পকারখানায় কাজ করে। সড়কটি হলে চট্টগ্রাম শহরের সাথে এসব শিল্পকারখানার যোগাযোগ সহজতর হবে। চাতরী চৌমুহনী, সিইউএফএল’র যানজট দূরীভূত হবে।

স্থানীয় বৈরাগ ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোরশেদুল আলম বলেন, এটি শিল্প এলাকা হলেও রাস্তা সংকীর্ণ হাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া রাস্তাটি হলে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর অনেক অবহেলিত গ্রামে উন্নয়নের ছুঁয়া লাগবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে দক্ষিণ জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, গত ১৯ অক্টোবর টেন্ডারের কথা ছিলো, কিন্তু তারিখ পিছিয়েছে। প্রকল্প যেহেতু অনুমোদন হয়েছে সেহেতু তা বাস্তবায়ন হবে।