ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১১ তরুণীর সাথে ‘সেক্স চ্যাট’, ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতেন টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪ ৩২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কখনো ভুয়া সেনাকর্তা কখনো রাজনৈতিক নেতা। একাধিক ভুয়া পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতেন মাদ্রাসার এক শিক্ষক। বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে একের পর এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর তাদের সাথে ‘সেক্স চ্যাট’ করে তা রেকর্ড করে রাখতেন। তারপর চলতো ব্ল্যাকমেইল। এভাবে ওই সাবেকশিক্ষকের প্রতারণার শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ২০০-এর বেশি তরুণী।

জানা গেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা সোহেল একসময় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। বিভিন্ন সময় ভুয়া পরিচয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে নিজের ফাঁদে ফেলতেন তরুণীদের। এরপর ওইসব তরুণী সোহেলের টোপ গিলে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেন। এরপর নিজের আসল রূপ দেখাতেন অভিযুক্ত সোহেল। অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ২১১ জন তরুণীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। রবিবার (৭ এপ্রিল) শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্রাসা শিষক্ষক সোহেল সেনাবাহিনীর মেজর, পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতার পরিচয়ে ফেসবুকে আইডি খুলে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেন। এরপর মেয়েদের সাথে আপত্তিকর কথা বলে তা রেকর্ড করে রাখতেন। পরে সেসব কথোপকথন ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন সোহেল। কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার সময় কেউ সন্দেহ করলে তাকে ব্লকও করে দেয়া হতো।

গ্রেপ্তারের সময় সোহেলের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ১২টি সিম কার্ড, চারটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ফোনে অসংখ্য তরুণীর ছবি, আপত্তিকর ভিডিও ও স্ক্রিনশট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্তরার পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

২১১ তরুণীর সাথে ‘সেক্স চ্যাট’, ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতেন টাকা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

কখনো ভুয়া সেনাকর্তা কখনো রাজনৈতিক নেতা। একাধিক ভুয়া পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতেন মাদ্রাসার এক শিক্ষক। বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে একের পর এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর তাদের সাথে ‘সেক্স চ্যাট’ করে তা রেকর্ড করে রাখতেন। তারপর চলতো ব্ল্যাকমেইল। এভাবে ওই সাবেকশিক্ষকের প্রতারণার শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ২০০-এর বেশি তরুণী।

জানা গেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা সোহেল একসময় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। বিভিন্ন সময় ভুয়া পরিচয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে নিজের ফাঁদে ফেলতেন তরুণীদের। এরপর ওইসব তরুণী সোহেলের টোপ গিলে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেন। এরপর নিজের আসল রূপ দেখাতেন অভিযুক্ত সোহেল। অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ২১১ জন তরুণীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। রবিবার (৭ এপ্রিল) শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্রাসা শিষক্ষক সোহেল সেনাবাহিনীর মেজর, পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতার পরিচয়ে ফেসবুকে আইডি খুলে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেন। এরপর মেয়েদের সাথে আপত্তিকর কথা বলে তা রেকর্ড করে রাখতেন। পরে সেসব কথোপকথন ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন সোহেল। কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার সময় কেউ সন্দেহ করলে তাকে ব্লকও করে দেয়া হতো।

গ্রেপ্তারের সময় সোহেলের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ১২টি সিম কার্ড, চারটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ফোনে অসংখ্য তরুণীর ছবি, আপত্তিকর ভিডিও ও স্ক্রিনশট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্তরার পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।