মানববন্ধনে বললেন বক্ততারা
১০ মাস পেরিয়ে গেলেও ডা. কাজেম আলী হত্যার খুনিরা অধরা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধনে নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেয়।
এ সময় বক্ততারা বলেন, ডা. কাজেম আলী হত্যার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের চিহ্নিত করা হয়নি। নগরীতে পুলিশ বাহিনীর স্থাপিত ৫ শতাধিক সিসি ক্যামেরা থাকলেও ওই হত্যাকান্ডে জড়িত মাইক্রো কারটি পর্যন্ত জব্দ করতে পারেনি পুলিশ।
বাক্তারা হত্যাকান্ডটিকে পরিকল্পিত দাবি করে তারা বলেন, আওয়ামী লীগের এক নেতা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত।
ডা. কাজেম আলী পরিবার বলছে, হত্যাকান্ডের পর এখন পর্যন্ত তাদের পরিবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখে বাড়ি ফেরার পথে রাজশাহীর কলাবাগান এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা নৃসংশভাবে হত্যা করে রামেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজেম আলীকে। মামলার প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও ড্যাব নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন, ড্যাব নেতা ডা. মনোয়ার তারিক সাবু, এনডিএফ সাধারণ সম্পাদক ডা. মুর্শেদ জামান মিঞা, ন্যাসনাল ডক্টরস ফোরাম এনডিএফ সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মহিউদ্দীন আহমেদ,এনডিএফ নেতা ডা. হাসানুজ্জমান হাসু, নিহত ডা. কাজেম আলীর সহপাঠি ডা. শাহানা পারভীন, ড্যাব নেতা ডা. ফারহান ইমতিয়াজ, নিহত ডা. কাজেম আহমেদ আলীর বড়ো ছেলে আবরার ফারহান আহম্মেদ সাদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি ডা. আপেল মাহমুদ, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এ্যাডমিন অফিসার হোসেন আলী, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জাহিদ হোসেন, ডা. ফজলুর রহমান ভুঁইয়া পাভেলসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে রাজশাহীর চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।