হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত: দাবি ইসরায়েলের
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ)। লেবাননের রাজধানী দক্ষিণ বৈরুতে এক হামলায় গ্রুপের কয়েক নেতার সাথে নাসরুল্লাহ নিহত হন তিনি।
তবে এ বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হয়নি। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আইডিএফ ঘোষণা দেয়, হিজবুল্লাহ প্রধান নিহত হয়েছেন।
রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় গত শুক্রবার রাতভর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জানা যায়, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারে সংগঠনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও অন্য নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এরপর হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার খবর জানানো হলো।
১৯৬০ সালে হাসান নাসরুল্লাহর জন্ম। বেড়ে উঠেছেন বৈরুতের পূর্বাঞ্চলীয় উপকণ্ঠের বুর্জ হামুদ এলাকায়। বাবা আবদুল করিম ছিলেন একজন সাধারণ সবজি বিক্রেতা। তার ৯ সন্তানের মধ্যে নাসরুল্লাহ ছিলেন সবার বড়। ১৯৭৫ সালে লেবানন গৃহযুদ্ধের মুখে পড়লে হাসান নাসরুল্লাহ শিয়া মুভমেন্ট ‘আমাল’-এ যোগ দেন।
এরপর ১৯৮২ সালে আরও কয়েকজনের সঙ্গে দল থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ১৯৮৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার কথা জানায় হিজবুল্লাহ। তাতে যোগ দেন হাসান নাসরুল্লাহ।
১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর প্রধান হন নাসরুল্লাহ। এর আগে ইসরায়েলের এক হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হন তার পূর্বসূরি আব্বাস আল-মুসাবি। হিজবুল্লাহ প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর মুসাবি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া ছিল হাসান নাসরুল্লাহর প্রথম কাজ। সে অনুযায়ী ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলার নির্দেশ দেন তিনি।
নাসরুল্লাহ লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গেও তার যোদ্ধাদের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। একপর্যায়ে ২০০০ সালে সেখান থেকে পিছু হটে দেশে ফিরে যান ইসরায়েলি সেনারা। তবে নাসরুল্লাহর ব্যক্তিগত ক্ষতিও কম হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ দিতে হয় তার বড় ছেলে হাদিকে।