হত্যা করে ফেলা হলো মেঘনায়, রক্তাক্ত মরদেহ মিলল সন্দ্বীপে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের উপজেলার চরমাকছুমুল গ্রামের এক জেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। নিহত জেলের নাম মো.রিপন (৫২)।
আরও পড়ুন : এমপি আনার হত্যার রহস্য ঘনাচ্ছে, নেপালে নজর সিআইডির!
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্রগ্রামের সন্দ্বীপের মেঘনা নদী সংলগ্ন কামাল মিয়ার পুকুর থেকে ওই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৮ মে (মঙ্গলবার) রাতে উপজেলার চরমাকছুমুল গ্রামের মেঘনা নদী সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২৮ মে বাড়ি থেকে রিপন ও তার ভগ্নিপতি জামাল মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। এরপর মঙ্গলবার (২৯ মে) দুপুর ২টার দিকে মো.জামাল উদ্দিন (৩৭) বাড়িতে ফিরে আসে। জামাল বাড়িতে ফেরার পর তার স্ত্রী লুঙ্গিতে রক্ত লেগে থাকতে দেখে। এরপর জামাল ভোরে চট্টগ্রাম যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।
ধারণা করা হচ্ছে,মেঘনা নদীর পাড়ে জামাল উদ্দিন দা দিয়ে কুপিয়ে রিপনকে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
নিহতের ছেলে আরমান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে আমার ফুফা জামাল উদ্দিন ও তার লোকজন একটি মাছ ধরার ফিশিংবোট চুরি করে নিয়ে আসে। পরে বোটটি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বোটের মালিকের কেছে আমার বাবা ফিরিয়ে দেয়। পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে ফুফা দু’দিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে আমার বাবাকে তার সহযোগী একই এলাকার দিদার, রবি, সোহাগ ও নিজামের সহযোগিতায় কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সায়েম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, মরদেহের মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখমের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জোয়ারের পানিতে মরদেহটি উড়িরচর এলাকার কামাল মিয়ার পুকুরে ঢুকে যায়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।