সৈকতে মৃত ডলফিন, হুমকির মুখে জলজ ও স্তন্যপায়ী প্রাণী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
কুয়াকাটার সৈকতে আবারও ভেসে এলো মিলল মৃত ডলফিনের। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট ও দুই ফুট প্রস্ত। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে জিরো পয়েন্ট সংলগ্নে পূর্ব পাশে সৈকতে মৃত এ ডলফিনটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা।
ধারনা করা হচ্ছে এটি বেশ কিছুদিন আগে মারা গেছে। মৃত ডলফিনটি জোয়ারে পানিতে কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসে। বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সদস্যরা এটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে কলাপাড়া উপজেলার জালালপুর গ্রামে আন্ধারমানিক নদীতে ফারুক হোসেনের জালে আটকা পড়ে জীবিত একটি ডলফিন। এটিকে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাগর মোহনায় অবমুক্ত করা হয়। এই ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৬ ফুট এবং প্রস্ত দেড় ফুট। একের পর এক সমুদ্র থেকে জীবত কিংবা মৃত ডলফিল তীরে ভেসে আসায় উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ ও মৎস্য গবেষকরা।
জানা গেছে, এর আগে একাধিক মৃত প্রাণীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশকর্মীদের ধারণা, আবাসস্থলের চরম বিপত্তির কারণ, জেলেদের জালে আটকে পড়ে, ট্রলিং ফিসিংয়ের কারণে কিংবা জাহাজের সাথে ধাক্কা খেয়ে এসব বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক সম্পদ মারা যেতে পারে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদ জলজ ও স্তন্যপায়ী প্রাণী অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে। একের পর এক মারা যাচ্ছে জলজ স্থন্যপায়ী প্রাণী ডলফিন, শুশুক আর কচ্ছপ। এ নিয়ে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার। তবে খবর পাওয়ার সাথে সাথে বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে মৃত ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়, এজন্য মৃত ডলফিনটিকে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশ,ইকোফিশ-২ এর সহকারি গবেষক মো.বখতিয়ার রহমান বলেন, ধারনা করা হচ্ছে, সমুদ্র প্রতিকুল পরিবেশের কারনে ডলফিন গুলোর মৃত্যু হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন উদঘাটনে গবেষনা অব্যাহত রয়েছে।