সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবি, ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন উদ্ধার হলেও উদ্ধার তৎপরতা বিরোধ নিয়ে কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে দ্বীপবাসী। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ৮ টা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে দ্বীপের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর আড়াই টার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ৬৫ দিন মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা দেয়। এসময় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ট্রলারটিতে ৬ জন যাত্রী ওঠে। একই সাথে ট্রলারটিতে ছিলো ছয় জেলে। ১২ জনের ট্রলারটি দুপুর আড়াই টার দিকে শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে ডুবে যায়।
এদিকে, ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতার জের ধরে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনবাসীর উত্তেজনা তৈরি হয়। সেন্টমার্টিন থেকে কয়েকজন বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধিরা জানান, ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলে তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যাওয়ার আগেই বাধা দেন।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসী একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফাঁকাগুলি বর্ষণ করা হয়েছে।