ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বললেন কাইয়ুম চৌধুরী

সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ঐতিহ্য দীর্ঘকালের

আহমদ বিলাল খান, সিলেট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানসহ আমরা সবাই ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে এদেশে বসবাস করি। এই দেশ সবার, আমরা সবাই মিলেমিশে একে অন্যের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে উৎসব পালন করি। এখানে সংখ্যালগু-সংখ্যাগরিষ্ট বলতে কিছু নেই, সবাই সমান নাগরিক।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় নগরীর একটি হোটেলে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময় সংখ্যালগু ও সংখ্যাগরিষ্ট শব্দ দুটি দিয়ে কট্টর সাম্প্রতিকতা তৈরি করা হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

বিশেষ করে সিলেটে একই সাথে মসজিদে আজান হয়, মন্দিরে পূজা হয়, গির্জা ও প্যাগোডায় প্রর্থনা হয়। এই সাম্প্রতিক সম্প্রীতির ঐতিহ্য দীর্ঘকালের। শারদীয় দুর্গাউৎসব সকল ধর্মের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এই উৎসবে অতিতের মতো আগামীদিনেও সিলেট জেলা বিএনপির সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিগত জোট সরকারের সময়ে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও রামকৃষ্ণ মিশন সহ বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়েও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়েছে। বিগত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট রেজিমের পতনের পর পতিত স্বৈরাচারের দোসররা মন্দির সহ ভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়ে বিশৃঙ্খলা করারা পরিকল্পনা করেছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ সকল মন্দির ও গির্জায় গিয়েছি, সবার সাথে মতবিনিময় করেছি। আমরা আশা করছি এবারের দুর্গা উৎসব অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় আরো উৎসবমুখর হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন – বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ কুমার দেব, জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পাল, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন ঘোষ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ রঞ্জুন সেন বাপ্পু।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সম্প্রীতির দেশ। বিশেষ করে সিলেটে সাম্প্রতিক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। এখানে ১০০ ফুটের মধ্যে ৪টি ধর্মীয় উপাসনালয়ও রয়েছে। আমরা সকলে মিলে মিশে একসাথে বসবাস করি। ফ্যাসিস্ট রেজিমের দোসরা বিতাড়িত হয়ে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার চক্রান্ত করছে। তাদের এই চক্রান্ত কখনো সফল হবে না। এবারের দুগা উৎসব হবে ভিন্ন আঙ্গিকে, নতুন রুপে ও ফ্যাসুবাদ মুক্ত দেশে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আনোয়ার হোসেন মানিক, আবুল কাশেম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা জাসাসের আহবায়ক নিজাম উদ্দিন তরফদার, সহ দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আহাদ চৌধুরী শামিম ও অর্জুন ঘোষ, সহ-তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শামসুর রহমান শামীম, যুবদল নেতা ঝলক আচার্য্য ও জামাল আহমেদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বললেন কাইয়ুম চৌধুরী

সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ঐতিহ্য দীর্ঘকালের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানসহ আমরা সবাই ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে এদেশে বসবাস করি। এই দেশ সবার, আমরা সবাই মিলেমিশে একে অন্যের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে উৎসব পালন করি। এখানে সংখ্যালগু-সংখ্যাগরিষ্ট বলতে কিছু নেই, সবাই সমান নাগরিক।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় নগরীর একটি হোটেলে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময় সংখ্যালগু ও সংখ্যাগরিষ্ট শব্দ দুটি দিয়ে কট্টর সাম্প্রতিকতা তৈরি করা হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

বিশেষ করে সিলেটে একই সাথে মসজিদে আজান হয়, মন্দিরে পূজা হয়, গির্জা ও প্যাগোডায় প্রর্থনা হয়। এই সাম্প্রতিক সম্প্রীতির ঐতিহ্য দীর্ঘকালের। শারদীয় দুর্গাউৎসব সকল ধর্মের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এই উৎসবে অতিতের মতো আগামীদিনেও সিলেট জেলা বিএনপির সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিগত জোট সরকারের সময়ে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও রামকৃষ্ণ মিশন সহ বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়েও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়েছে। বিগত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট রেজিমের পতনের পর পতিত স্বৈরাচারের দোসররা মন্দির সহ ভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়ে বিশৃঙ্খলা করারা পরিকল্পনা করেছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ সকল মন্দির ও গির্জায় গিয়েছি, সবার সাথে মতবিনিময় করেছি। আমরা আশা করছি এবারের দুর্গা উৎসব অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় আরো উৎসবমুখর হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন – বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ কুমার দেব, জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পাল, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন ঘোষ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ রঞ্জুন সেন বাপ্পু।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সম্প্রীতির দেশ। বিশেষ করে সিলেটে সাম্প্রতিক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। এখানে ১০০ ফুটের মধ্যে ৪টি ধর্মীয় উপাসনালয়ও রয়েছে। আমরা সকলে মিলে মিশে একসাথে বসবাস করি। ফ্যাসিস্ট রেজিমের দোসরা বিতাড়িত হয়ে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার চক্রান্ত করছে। তাদের এই চক্রান্ত কখনো সফল হবে না। এবারের দুগা উৎসব হবে ভিন্ন আঙ্গিকে, নতুন রুপে ও ফ্যাসুবাদ মুক্ত দেশে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আনোয়ার হোসেন মানিক, আবুল কাশেম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা জাসাসের আহবায়ক নিজাম উদ্দিন তরফদার, সহ দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আহাদ চৌধুরী শামিম ও অর্জুন ঘোষ, সহ-তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শামসুর রহমান শামীম, যুবদল নেতা ঝলক আচার্য্য ও জামাল আহমেদ প্রমুখ।