ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বন্যা: পর্যটন খাতে ক্ষতি ৫শ কোটি

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট পর্যটন খাতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি বছর তিন দফা বন্যায় পর্যটন স্পট বন্ধ থাকে। বার বার বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে প্রায় ৫শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে ঈদকে ঘিরে। কিন্তু সেই ঈদে ভরা মৌসুমেও পর্যটকমুখর হয়নি প্রকৃতিকন্যা সিলেট।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চা বাগান, পাথুরে নদী, জলাবন, পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনা, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি হাওরসহ বিভাগজুড়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র। এসব দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন প্রকৃতি প্রেমিকরা।

পর্যটনের ভরা মৌসুমে সিলেটে বাগড়া দেয় দফায়-দফায় বন্যা। ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হয় পর্যটনকেন্দ্র। এরপরই ধস নামে সিলেটের পর্যটন শিল্পে। এখনো পর্যটক শূন্য সিলেট।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, গত ২৯ মে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে প্রথম বন্যার সৃষ্টি হয়। ৮ জুনের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। বন্যার দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ১৬ জুন।

গত ১৯ জুন ওইসব উপজেলায় বন্যা বিস্তৃত হয়। এর মধ্যে ১৭ জুন থেকে সুনামগঞ্জে ফের বন্যা দেখা দেয়। যা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিস্তুত হয়। এরপর সিলেট অঞ্চলে ১ জুলাই থেকে আবার বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে।

সিলেট হোটেল-মোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় ৫ শতাধিক হোটেল- মোটেল রয়েছে। যার বেশির ভাগ এখনো ফাঁকা। ঈদের দিন থেকে বন্যা শুরু হওয়ায় প্রশাসন পর্যটক কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিলেটে বন্যা: পর্যটন খাতে ক্ষতি ৫শ কোটি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

সিলেট পর্যটন খাতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি বছর তিন দফা বন্যায় পর্যটন স্পট বন্ধ থাকে। বার বার বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে প্রায় ৫শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে ঈদকে ঘিরে। কিন্তু সেই ঈদে ভরা মৌসুমেও পর্যটকমুখর হয়নি প্রকৃতিকন্যা সিলেট।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চা বাগান, পাথুরে নদী, জলাবন, পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনা, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি হাওরসহ বিভাগজুড়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র। এসব দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন প্রকৃতি প্রেমিকরা।

পর্যটনের ভরা মৌসুমে সিলেটে বাগড়া দেয় দফায়-দফায় বন্যা। ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হয় পর্যটনকেন্দ্র। এরপরই ধস নামে সিলেটের পর্যটন শিল্পে। এখনো পর্যটক শূন্য সিলেট।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, গত ২৯ মে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে প্রথম বন্যার সৃষ্টি হয়। ৮ জুনের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। বন্যার দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ১৬ জুন।

গত ১৯ জুন ওইসব উপজেলায় বন্যা বিস্তৃত হয়। এর মধ্যে ১৭ জুন থেকে সুনামগঞ্জে ফের বন্যা দেখা দেয়। যা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিস্তুত হয়। এরপর সিলেট অঞ্চলে ১ জুলাই থেকে আবার বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে।

সিলেট হোটেল-মোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় ৫ শতাধিক হোটেল- মোটেল রয়েছে। যার বেশির ভাগ এখনো ফাঁকা। ঈদের দিন থেকে বন্যা শুরু হওয়ায় প্রশাসন পর্যটক কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।