ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে আবারও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল থেকে আবারও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উজান থেকে পাড়ি ঢল সুরমা ও কুশিয়ারা নদীদে বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এদিকে সোমবার (৮ জুলাই) পানি কমায় অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবারও ফিরেছেন অনেকে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরও টানা দুইদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সজীব হোসাইন জানান, গত ৩৬ ঘন্টায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৮৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কুশিয়ারা তীরবর্তী জনপদ জকিগঞ্জ,ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এখনও প্লাবিত এলাকার রাস্তাঘাট ডুবন্ত রয়েছে এবং অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে রয়েছে।

তবে সুরমা তীরবর্তী জনপদ গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। এসব উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বন্যার্তরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

তথ্যমতে, জেলার ১৩ উপজেলায় ১০১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এক হাজার ৬৪টি গ্রামের ৫ লাখ ৪০ হাজার ৮২০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ৬৫০টি আশ্রয় কেন্দ্রে (৯ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৩টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে শেওলা, লোভা, সারি ও ডাউকি নদীর পানিও কমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিলেটে আবারও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

সিলেটে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল থেকে আবারও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উজান থেকে পাড়ি ঢল সুরমা ও কুশিয়ারা নদীদে বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এদিকে সোমবার (৮ জুলাই) পানি কমায় অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবারও ফিরেছেন অনেকে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরও টানা দুইদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সজীব হোসাইন জানান, গত ৩৬ ঘন্টায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৮৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কুশিয়ারা তীরবর্তী জনপদ জকিগঞ্জ,ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এখনও প্লাবিত এলাকার রাস্তাঘাট ডুবন্ত রয়েছে এবং অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে রয়েছে।

তবে সুরমা তীরবর্তী জনপদ গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। এসব উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বন্যার্তরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

তথ্যমতে, জেলার ১৩ উপজেলায় ১০১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এক হাজার ৬৪টি গ্রামের ৫ লাখ ৪০ হাজার ৮২০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ৬৫০টি আশ্রয় কেন্দ্রে (৯ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৩টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে শেওলা, লোভা, সারি ও ডাউকি নদীর পানিও কমেছে।